বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কিছু বলার
জন্য আমাকে বেশ কয়েকজন অনুরোধ করেছেন। আমার কাছে স্পষ্ট তেমন কোন তথ্য নেই
যা দিয়ে আমি এ বিষয়ে আমার মতামত ব্যক্ত করতে পারি। যাই হোক,আমি কিছু
দিকনির্দেশনা দিতে পারি যেটা হয়তোবা উপকারে আসতে পারে।
স্পষ্ট প্রমাণাদি থাকা সত্ত্বেও কোন কিছু প্রমাণ করতে গিয়ে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়লে কাজের কাজ কিছুই হবে না,বরং এই মুহূর্তে তা পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে করে তুলবে। যাদের হাতে অস্রভাণ্ডার মজুদ রয়েছে,তাদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে জীবন বিপন্ন করা ইসলাম কোনভাবেই সমর্থন করে না।
কেউ কেউ বলছেন যে সরকার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অবমাননাকারীদের সমর্থন দিচ্ছে। অবশ্যই যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবমাননা করেছে,তাদের ইসলামিক আইন অনুযায়ী বিচার করতে হবে। কিন্ত,মনে রাখতে হবে,এটা রাষ্ট্রীয় ফরয,ব্যক্তিগত ফরয নয়। সরকার যদি এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নেয়,তাহলে ব্যক্তিগত কোন আক্রমণ ইসলামে সমর্থনযোগ্য নয়।
খারাপ পরিস্থিতি চলাকালে,"কান নিয়েছে চিলে" শুনেই চিলের পিছনে দৌড়ানো কোনভাবেই ঠিক নয়। বর্তমানে মানুষের জীবন বিপন্ন,এবং এই সময় যে কোন একটা গুজব ভয়ংকর বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে।
প্রত্যেকের এটা মাথায় রাখা উচিত যে,যে কোন অনাকাক্ষিত ঘটনা ঘটে গেলে,এটাকে শুধু তাদের বিরুদ্ধেই পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করা হবে না,বরং একই সাথে ইসলামের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করা হবে। তাই,এ সময় সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে হবে।
এ পরিস্থিতিকে ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করতে হবে। ধ্বংসাত্মক পথ বাদ দিয়ে,যে সকল পন্থা অনুমোদিত,শুধু সেগুলোই ব্যবহার করতে হবে। যেমন,সত্য প্রচারে মিডিয়াকে ব্যবহার করে ন্যায়বিচারের আহবান জানাতে হবে। কুরআন ও সুন্নাহর পথে আসার জন্য বেশি বেশি করে মানুষকে দাওয়াত দিতে হবে।
সর্বোপরি,এটা মাথায় রাখতে হবে,ইসলাম কোন ব্যক্তিনির্ভর দ্বীন নয়। এই দ্বীন,এই বিশ্বজাহানের সৃষ্টিকর্তা,রক্ষণাবেক্ষণকারী,প্রতিপালক,মহান আল্লাহ সুবহানাতা'আলার। সকল দুঃখ-দুর্দশা শেষে,আল্লাহ তাঁর দ্বীনকে তাঁর জমীনে প্রতিষ্ঠিত করবেনই ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ বলেনঃ
আল্লাহ মুসলিমদের তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জ্ঞান,প্রজ্ঞা ও বল দান করুন। আমীন।
- শায়খ আসিম আল-হাকিম।
স্পষ্ট প্রমাণাদি থাকা সত্ত্বেও কোন কিছু প্রমাণ করতে গিয়ে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়লে কাজের কাজ কিছুই হবে না,বরং এই মুহূর্তে তা পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে করে তুলবে। যাদের হাতে অস্রভাণ্ডার মজুদ রয়েছে,তাদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে জীবন বিপন্ন করা ইসলাম কোনভাবেই সমর্থন করে না।
কেউ কেউ বলছেন যে সরকার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অবমাননাকারীদের সমর্থন দিচ্ছে। অবশ্যই যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবমাননা করেছে,তাদের ইসলামিক আইন অনুযায়ী বিচার করতে হবে। কিন্ত,মনে রাখতে হবে,এটা রাষ্ট্রীয় ফরয,ব্যক্তিগত ফরয নয়। সরকার যদি এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নেয়,তাহলে ব্যক্তিগত কোন আক্রমণ ইসলামে সমর্থনযোগ্য নয়।
খারাপ পরিস্থিতি চলাকালে,"কান নিয়েছে চিলে" শুনেই চিলের পিছনে দৌড়ানো কোনভাবেই ঠিক নয়। বর্তমানে মানুষের জীবন বিপন্ন,এবং এই সময় যে কোন একটা গুজব ভয়ংকর বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে।
প্রত্যেকের এটা মাথায় রাখা উচিত যে,যে কোন অনাকাক্ষিত ঘটনা ঘটে গেলে,এটাকে শুধু তাদের বিরুদ্ধেই পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করা হবে না,বরং একই সাথে ইসলামের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করা হবে। তাই,এ সময় সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে হবে।
এ পরিস্থিতিকে ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করতে হবে। ধ্বংসাত্মক পথ বাদ দিয়ে,যে সকল পন্থা অনুমোদিত,শুধু সেগুলোই ব্যবহার করতে হবে। যেমন,সত্য প্রচারে মিডিয়াকে ব্যবহার করে ন্যায়বিচারের আহবান জানাতে হবে। কুরআন ও সুন্নাহর পথে আসার জন্য বেশি বেশি করে মানুষকে দাওয়াত দিতে হবে।
সর্বোপরি,এটা মাথায় রাখতে হবে,ইসলাম কোন ব্যক্তিনির্ভর দ্বীন নয়। এই দ্বীন,এই বিশ্বজাহানের সৃষ্টিকর্তা,রক্ষণাবেক্ষণকারী,প্রতিপালক,মহান আল্লাহ সুবহানাতা'আলার। সকল দুঃখ-দুর্দশা শেষে,আল্লাহ তাঁর দ্বীনকে তাঁর জমীনে প্রতিষ্ঠিত করবেনই ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ বলেনঃ
আর মুহাম্মদ একজন রসূল বৈ তো নয়! তাঁর পূর্বেও বহু রসূল অতিবাহিত হয়ে গেছেন। তাহলে কি তিনি যদি মৃত্যুবরণ করেন অথবা নিহত হন, তবে তোমরা পশ্চাদপসরণ করবে? বস্তুতঃ কেউ যদি পশ্চাদপসরণ করে, তবে তাতে আল্লাহর কিছুই ক্ষতি-বৃদ্ধি হবে না। আর যারা কৃতজ্ঞ, আল্লাহ তাদের সওয়াব দান করবেন। [সূরা আলে ইমরান,আয়াত ১৪৪]
আল্লাহ মুসলিমদের তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জ্ঞান,প্রজ্ঞা ও বল দান করুন। আমীন।
- শায়খ আসিম আল-হাকিম।
No comments:
Post a Comment