Tuesday, March 5, 2013

এই নোটটা শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য...............

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

“আমাকে আমার মত থাকতে দাও
আমি নিজেকে নিজের মত গুছিয়ে নিয়েছি......”

অথবা

“I'm doing what I want
This is my life...........”

পশ্চিমা সভ্যতার এই type গানগুলো আমাদের দেশের মানুষের এখন মুখে মুখে। শুধু মুখেই না,আমাদের চিন্তা-ভাবনা,সবকিছু এই ভাবধারার সাথে মিশে গেছে। যত ভাল কথাই হোক,আমরা এখন তা আর শুনতে নারাজ। নিজে এটা বুঝেছি,তাই এটাই ঠিক! জ্ঞান,বুদ্ধি,যুক্তি,সব রসাতলে যাক, “আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে”।

ইসলাম কি আমাদের এটাই শিখায়? যে যার খুশিমত চলুক,কাউকে কিছু বলবে না,নিজে ঠিক থাক,তাহলেই চলবে,এটাই কি ইসলামের ভাবধারা? আসুন একটু বিশ্লেষণ করে দেখি। 

একটি রূপক গল্পঃ

ধরুন,আমি আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড। তো যাই হোক,ধরুন একদিন আপনি আপনার প্রিয়জনের সাথে দেখা করার জন্য “ক” জায়গায় যাবেন! তো “ক”-তে যাওয়ার দুটি পথ রয়েছে,একটা বড় রাস্তা,ধরি “খ”,এবং আরেকটা shortcut, “গ”। আপনাদের দেখা করার সময় বিকাল ৩টা। 

তো যাই হোক,নির্দিষ্ট দিনটায় আপনি যে কোন কারণেই বাসা থেকে বের হতে আড়াইটা বাজিয়ে ফেললেন! এখন তো আপনার “খ” দিয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই,আপনাকে “গ” রাস্তাটাই নিতে হবে!

তো আপনি যখন “গ” রাস্তায় ঢুকছেন,তখনই দেখলেন যে আমি “গ” দিয়ে দৌড়ে এসে আপনার গায়ের উপর পড়ে গেলাম!

আপনিঃ আরে দোস্ত তুই! কী হয়েছে?

আমি (হাঁপাতে হাঁপাতে) : দোস্ত আর বলিস না! ঐ রাস্তায় হঠাৎ করে কাসেম গ্রুপ আর হাফিজ গ্রুপের লোকজন গোলাগুলি শুরু করে দিয়েছে! কোনমতে জান নিয়ে আল্লাহর রহমতে পালিয়ে এসেছি!

আপনিঃ বলিস কী! আলহামদুলিল্লাহ। কিন্ত একটা সমস্যা হয়ে গেল যে!

আমিঃ কেন কী হয়েছে?

আপনিঃ আরে বলিস না,ও আমার জন্য “ক”-তে অপেক্ষা করছে। ৩টার সময় দেখা করার কথা। আমার হাতে তো আর সময় নেই! আমাকে এই রাস্তাটা দিয়েই যেতে হবে।

আমিঃ আরে পাগল না কি! ভয়াবহ রকমের সংঘর্ষ বেঁধে গেছে! এর মধ্যে গিয়ে জানটা খোয়াবি না কি?

আপনিঃ আরে সমস্যা নাই! আমি পাশ দিয়ে পাশ দিয়ে চলে যাব! ওর সাথে ঠিক ৩টার সময় দেখা না হলে ভয়াবহ রাগ করবে।

আমিঃ আরে তুই বেঁচে থাকলে না রাগ করবে! তুই যদি মরেই যাস,তাহলে কার সাথে রাগ করবে? না দোস্ত,আমি তোকে ঐ রাস্তায় যেতে দেব না। চল,আমিও তোর সাথে “খ” দিয়ে যাই,ওকে আমি বুঝিয়ে বলব নি দেরির কারণ। 

আপনিঃ আরে না,সেটা হয় না কি? তুই চিন্তা করিস না,আমি ঠিক চলে যাব। 

আমিঃ আরে কী পাগলের মত কথা বলিস! কীভাবে গুলি চলছে জানিস? একেবারে বৃষ্টির মত! না,তোকে আমি কিছুতেই যেতে দেব না এই রাস্তায়!

আপনিঃ আরে আমাকে যেতেই হবে..................

এইভাবে কথপোকথন চলতেই থাকল। একপর্যায়ে আপনি বললেন, “এই ঝামেলা পাকাইস না তো! এটা আমার ব্যাপার,আমি দেখব!”। এই পর্যায়ে আমি দুইটা কাজ করতে পারিঃ 

১) আমি “যা ব্যাটা,গুলি খেয়ে মর গা,আমার কী?” বলে আপনাকে নিশ্চিন্ত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে আমার পথে চলে যেতে পারি।

২) আপনাকে আরো বুঝিয়ে,দরকার হলে জাপটে ধরে,টেনেহিঁচড়ে আপনাকে “খ” রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেতে পারি!

আপনিই বলুন,আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবে আমার দ্বায়িত্ব কোনটি? আপনার শত অপমানসূচক কথার পরেও আপনাকে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচানো,না “ওর ব্যাপার,ও বুঝুক গে” বলে আপনার অধিকারে হস্তক্ষেপ না করে আপনাকে নিশ্চিন্ত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া?

অবশ্যই প্রথমটি।

আর আমি যদি তাই না করি,আপনিই বলুন তো,আমি কোন অধিকারে আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড তো দূরের কথা,শুধু “ফ্রেন্ড” হিসেবে নিজেকে দাবী করতে পারি?

এবার এই রূপক গল্পটার আড়ালে কিছু বাস্তব সত্যি কথায় আসি!

আমি আপনার ফ্রেন্ড! আমি ইসলাম নিয়ে পড়াশুনা করি,পাঁচ ওয়াক্ত নামায সঠিক সময়ে আদায় করি,দাঁড়ি রাখি,যতটা সম্ভব ইসলামের নিয়মকানুনগুলো মানার চেষ্টা করি। অন্যদিকে আপনি,ইসলাম নিয়ে পড়াশুনা তো দূরের ব্যাপার,পাঁচ ওয়াক্ত নামায শেষ কবে একদিনে আদায় করেছেন মনে করতে পারেন না!

আমি খুব ভালভাবেই জানি,আপনার এই কর্মকাণ্ডগুলোর জন্য প্রতিটা মুহুর্তে আপনি নিশ্চিন্ত জাহান্নামের দিকে এক পা এক পা করে এগিয়ে চলেছেন! তো ঐ গল্পটার আদলে চিন্তা করে বলুন তো,আমি কীভাবে নিজেকে আপনার বন্ধু হিসেবে নিজেকে দাবী করব,নিশ্চিন্তভাবে এটা জানার পর যে আপনি এই মূল্যবান মুহুর্তগুলো হেলায় নষ্ট করছেন,এবং সবকিছু জেনেও আপনাকে কিছু বলছি না?

"পনি কি তার প্রতি লক্ষ্য করেছেন,যে তার খেয়াল-খুশীকে স্বীয় উপাস্য স্থির করেছে?আল্লাহ জেনে শুনে তাকে পথভ্রষ্ট করেছেন,তার কান ও অন্তরে মহর এঁটে দিয়েছেন এবং তার চোখের উপর রেখেছেন পর্দা।অতএব,আল্লাহর পর কে তাকে পথ প্রদর্শন করবে?তোমরা কি চিন্তাভাবনা কর না?"[সূরা জাসিয়া,আয়াত ২৩]

"হে জ্বিন ও মানব সম্প্রদায়,তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্য থেকে পয়গম্বরগণ আগমন করে নি?যাঁরা তোমাদেরকে আমার বিধানাবলী বর্ণনা করতেন এবং তোমাদেরকে আজকের এ দিনের সাক্ষাতের ভীতি প্রদর্শন করতেন?তারা বলবেঃ আমরা স্বীয় গোনাহ স্বীকার করে নিলাম।পার্থিব জীবন তাদেরকে প্রতারিত করেছে।তারা নিজেদের বিরুদ্ধে স্বীকার করে নিয়েছে যে, তারা কাফের ছিল।"[সূরা আল আন-আম: ১৩০]

বলুন,আমি কী ধরণের বন্ধু,যে জেনেশুনে আমার বন্ধুকে নিশ্চিন্ত শাস্তির পথে ঠেলে দিচ্ছি?

"তুমি কি জান 'সাকার' (জাহান্নামের আগুন) কি? এটা এমন ভয়াবহ আযাব যা এর অধিবাসীদের জ্বালিয়ে অক্ষত অবস্থায়ও ফেলে রাখবে না,আবার শাস্তি থেকে রেহাইও দেবে না,বরং তা মানুষের গায়ের চামড়া জ্বালিয়ে দেবে।" [সূরা আল মোদ্দাসসের , ২৭-২৯]

বর্তমান চিন্তাভাবনা ও ইসলামঃ

আপনি হয়ত এখন বলবেন, “এ দায়িত্ব তো ছিল আল্লাহর রাসূলদের,এবং ওনারা তা পালন করে গেছেন। তুমি কে আমাকে এইসব কথা বলার? কে তোমাকে এই দ্বায়িত্ব দিয়েছেন?”। 

অবশ্যই প্রত্যেক নবী-রাসূলের দায়িত্ব ছিল মহান আল্লাহর বাণী মানুষের কাছে পৌঁছিয়ে দেওয়া,এবং প্রত্যেকেই ওনাদের দ্বায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছেন! There is no doubt on that. কিন্ত ইসলামে প্রবেশ করার পর প্রতিটি মুসলমানের fundamental দ্বায়িত্বগুলোর মধ্যে একটি হল,ইসলামের বাণী ছড়িয়ে দেওয়া,যার পক্ষে যতটুকু সম্ভব,যেভাবে সম্ভব!

নিচের কথাগুলো দেখুনঃ

"কালের শপথ,মানুষ অবশ্য-ই ক্ষতির মধ্যে (ডুবে) আছে,কিন্তু তারা নয়,যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় এবং পরস্পরকে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দেয়।"(সূরা আল-আসর)

 "তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত,মানবজাতির কল্যাণ্যের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে।তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে।"(সূরা আল-ইমরান,আয়াত ১১০)

আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত যারা (মানুষকে) সৎকর্মের প্রতি আহবান জানাবে,ভাল কাজের নির্দেশ দেবে এবং অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করবে,আর তারাই হলো সফলকাম।"(সূরা আল ইমরান,আয়াত ১০৪)

আর তুমি সতর্ক কর তোমার নিকটাত্মীয় স্বজনদের।"(সূরা আশ-শু'আরা, আয়াত ২১৪)

 "যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?"(সূরা ফুসিলাত,আয়াত ৩৩)

"প্রচার কর,যদি একটিমাত্র আয়াতও হয়।"(সহীহ বুখারী ৩৪৬১)

দেখুন,আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (স.)-ই এই দ্বায়িত্ব দিয়েছেন প্রতিটি মুসলমানকে,যেন তাঁরা তাঁদের আপনজনদের,তাঁদের কাছের মানুষদের সঠিক পথের দিকে আহবান করেন!

একটু চিন্তা করে দেখুন তো,সবাই নিজ নিজ ভাবেই যদি চলে,তাহলে আর আল্লাহ কেন নবী-রাসূলদের পাঠালেন? কী দরকার ছিল তাওরাত,যাবূর,ইনজীল এবং মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ আলোকবর্তিকা আল-কুরআন নাযিলের??? বা নূহ (আ.),মুসা (আ.),ইবরাহীম (আ.) আর পরিশেষে রাসূলুল্লাহ (স.)-এরই বা কেন এত struggle তাঁদের নিজেদের জীবনটাকে আমাদের সামনে উদাহরণ হিসেবে set করার?????

উত্তর একটাই,মানুষ যেন সঠিক পথের সন্ধান পায়। মানুষ যেন তাগুতের (শয়তান,কুপ্রবৃত্তি) উপাসনা ছেড়ে সর্বশক্তিমান মহাজ্ঞানী আল্লাহর উপাসনায় লিপ্ত হয়,স্বাদ পায় মহাসাফল্যের।

একটি প্রশ্ন ও তার উত্তরঃ

এখন হয়ত প্রশ্ন করবেন, “অনেক তো বকর-বকর কর। আমাকে দেখলেই বল নামায পড়তে,আমাকে দেখলেই বল দাঁড়ি রাখতে (অথবা হিজাব করতে),কিন্ত কই,মিথ্যা কথা না বলতে,ক্লাসের সময় অন্যদিকে মনোযোগ না দিতে,পরীক্ষার সময় অন্যের খাতা না দেখতে তো আমাকে বল না? এই তোমার ইসলাম???”।

তথাকথিত “মুক্তমনা”-দের top favorite এই প্রশ্নটা এখন মুসলিমদের মুখে মুখে! তো আসুন,দেখি কেন আগে নামায পড়ার বিষয়ে এত গুরুত্ব দেওয়া হয়,এবং অবশ্যই কুরআন-হাদীসের আলোকে!

) “নিশ্চয় নামায মানুষকে অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।” [সূরা আনকাবূত,আয়াত ৪৫]

অর্থ্যাৎ যে ব্যক্তি নিয়মিত একাগ্র মনে নামায পড়বে,আল্লাহই ঘোষণা দিয়ে দিলেন যে সে কোন মন্দ কাজ করতে পারে না! অর্থ্যাৎ নিজের মনকে পাপ থেকে,মিথ্যা থেকে রক্ষা করার প্রধান অস্র হচ্ছে এই পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামায! আর এর সাথে বাকি নফল নামাযগুলো মনকে পাপের বিরুদ্ধে আরো তৈরি করে।

) ''...তবে এখন যদি তারা তাওবাহ করে, সালাত আদায় করে, যাকাত প্রদান করে, তাহলে তারা তোমাদের দ্বীনি ভাই।” [সূরা আত-তাওবাহ-১১]

এই আয়াতে "দ্বীনি ভাই",অর্থ্যাৎ মুসলিম হওয়ার জন্য আল্লাহ তা’আলা কিছু শর্তারোপ করেছেন—

১ম শর্তঃ যেন তারা শিরক হতে তাওবাহ করে।

২য় শর্তঃ যেন তারা সালাত প্রতিষ্ঠা করে।

৩য় শর্তঃ আর যেন তারা যাকাত প্রদান করে।

) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন—“নিশ্চয়ই মানুষ ও কুফরীর (শিরক) মাঝে পৃথককারী বিষয় হচ্ছে সালাত ত্যাগ করা।” (সহীহ মুসলিম)

) "আমাদের ও তাদের (কাফিরদের) মাঝে চুক্তি হচ্ছে সালাতের, অতএব, যে ব্যক্তি সালাত ত্যাগ করল সে কুফরী করল।” (মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ)

অতএব,যে পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাযের এক ওয়াক্ত নামাযও ইচ্ছা করে কাযা করেন,সে কুফরী অর্থ্যাৎ আল্লাহর অস্তিত্বকে অস্বীকার ও অবিশ্বাস করার সমতুল্য গুনাহ করে ফেলেন! আর আল্লাহ বলে দিয়েছেন,তিনি কোনভাবেই শির্ক আর কুফরীর পাপ ক্ষমা করবেন না,যদি না মৃত্যুর পূর্বে তাওবা করা হয়!

আর যে লোক তা অস্বীকার করবে (অর্থ্যাৎ কুফরী করবে) এবং আমার নিদর্শনগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাবে, তারাই হবে জাহান্নামবাসী; তারা অনন্তকাল সেখানে থাকবে।” [সূরা বাকারা,আয়াত ৩৯]

অবশ্যই মিথ্যা বলা একটি কবীরা গুনাহ,এবং এর শাস্তিও ব্যাপক! কিন্ত আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের বিশুদ্ধ মত হচ্ছে যে ব্যক্তি শির্ক আর কুফর থেকে বেঁচে থাকবে এবং একমাত্র আল্লাহকেই ইলাহ হিসেবে মনে-প্রাণে স্বীকার করবে,আল্লাহ তার নির্দিষ্ট শাস্তি শেষ হওয়ার পর তাকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দেবেন,এবং একবার জান্নাতে প্রবেশ করার পর থেকে সে সেখানেই থাকবে! কিন্ত শির্ক আর কুফরীর গুনাহ কোনভাবেই মাফ করা হবে না!

এর স্পষ্ট আরো একটি উদাহরণ নিচের হাদিসটি।

একবার রাসূলুল্লাহ(স.)মায়ের কবর যিরায়তে গেলেন। সঙ্গে ছিলেন কিছু সাহাবা। সেখানে পৌঁছে তিনি কেঁদে উঠলেন। সাহাবাগণ কাঁদার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, “আমি আল্লাহর কাছে আম্মার কবর যিয়ারতের এবং তাঁর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার অনুমতি চাইলাম,কিন্ত আল্লাহ আমাকে সে অনুমতি দেন নি।"

চিন্তা করে দেখুন। রাসূলুল্লাহ (স.) নিজের পিতামাতার জন্য দোয়া করার অনুমতি পর্যন্ত পান নি,কারণ তাঁরা মুশরিক তথা কাফির অবস্থায় মারা গেছেন!

এখন আমাকে বলুন তো,ভাই,আপনাকে প্রথম দাওয়াত কীসের দেওয়া উচিত? নামায পড়ার,না মিথ্যা বলা পরিত্যাগ করার?

আমি আল্লাহর কসম খেয়ে বলতে পারি,কোন ব্যক্তি,যতদিন না পর্যন্ত আল্লাহকে “প্রকৃত” ভয় না করতে শুরু করে,সে কখনো মিথ্যা বলা পরিত্যাগ করতে পারবে না! কারণ যার মনে এই ভয়টাই নেই,যে আল্লাহ 24/7 আমাকে দেখছেন,আর একটি মিথ্যা বলার জন্যই আমাকে শাস্তি পেতে হবে,সে কীভাবে মিথ্যা পরিত্যাগ করবে? আপনি দেখুন,আল্লাহর রাসূল (সা.) তাঁর সারা জীবনে এবং সাহাবীরা ইসলাম গ্রহণের পর একটিবারের জন্যও মিথ্যা বলেন নি! কারণ কী? আল্লাহর ভয়,তথা তাক্বওয়া!

এবং এই তাক্বওয়াটাই কীভাবে আসবে? একাগ্র চিত্তে,শুধুমাত্র আল্লাহর ভয়ে,শুধুমাত্র আল্লাহকে সন্তষ্ট করার উদ্দেশ্যে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে দাঁড়িয়ে!!!

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক ইসলাম বোঝার তাওফীক দান করুন! আল্লাহ আমাদেরকে মুসলমান হিসেবে মরার তাওফীক দান করুন! আল্লাহ হাশরের দিনে আমাদেরকে তাঁর আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবার তাওফীক দান করুন!

আমীন!

No comments:

Post a Comment