ঘটনা-১ :
সকাল সাড়ে নয়টায় ঘুম থেকে উঠলাম। ওঠার সাথে সাথে শুনতে পেলাম মসজিদের মাইক থেকে announce করা হচ্ছে,
"একটি শোক সংবাদ। অমুকের পিতা অমুক ইন্তেকাল করিয়াছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বাদ যোহর তাঁর নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হইবে।"
ঘটনা-২ :
মসজিদ থেকে আসর পরে আসলাম। জামাকাপড় change করে একটু বিছানায় বসার সাথে সাথে কর্ণকুহরে প্রবেশ করল,
"কাভি তো পাস মেরে আও.................."
এবং কর্ণকুহরে একের পর এক গান প্রবেশ করাতে বাধ্য হচ্ছি।
২৯শে রমাযান,১৪৩৪ হিজরীতে ঘটে যাওয়া ছোট্ট দুটি ঘটনা।
এ বছর ৩০টি রোজা পাওয়ার সৌভাগ্য আমাদের হল না। আজ পহেলা শাওয়াল,১৪৩৪ হিজরী। আগামীকাল পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর,আমাদের সবার খুশির ঈদ।
রমাযান আমাদের দেওয়া হয়েছিল,যেন আমরা তাক্বওয়া অর্জন করতে পারি।
তাক্বওয়া অর্জন কতটুকু হয়েছে তা নিয়ে আমাদের কোন ভ্রুক্ষেপ না থাকলেও,কত "আনন্দ" করে ঈদ উদযাপন করা যায়,তা নিয়ে মাশাআল্লাহ আমাদের চিন্তার অন্ত নেই,তা যতই ইসলামের সকল বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে হোক না কেন।
অথচ,যিনি আমাদের এখনও বাঁচিয়ে রেখেছেন,ঠিক আজ সকালে যেমন একজন মৃত্যুবরণ করলেন,তাঁর মত মৃত্যুবরণ করার আদেশ দেন নি,তাঁকে সন্তষ্ট করার কোন মাথাব্যথা আমাদের নেই।
অথচ,রমাযান দেওয়াই হয়েছিল,তাঁকে সন্তষ্ট করে কীভাবে জীবনযাপন করা যায়,তাঁর একটা reminder plus training হিসেবে।
যাই হোক,সবার প্রতি দুটো অনুরোধ থাকবে।
১) এই রমাযানে হয়তো কেউ কেউ সামান্য হলেও নতুন করে কোন ভাল কাজ করতে শুরু করেছি। কেউ পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়তাম না,রমাযানে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়তে শুরু করেছি। কেউ সিগারেট খেতাম,সিগারেট খাওয়া ছেড়েছি।
রমাযানকে সত্যি সত্যি আমরা utilize করতে পেরেছি,তার একটা বড় নিদর্শন হল,যে কাজগুলো রমাযানে করতে শুরু করেছিলাম,ঠিক সেই কাজগুলো রমাযানের পরেও করে যাওয়া।
আমরা যেন রমাযানে শুরু করা কাজগুলো আমাদের সারা জীবনে চালিয়ে নিয়ে যেওয়ার সংকল্প করি,আর ঐ কাজগুলোর সাথে সাথে অল্প করে হলেও,ইসলামের বিধানগুলো এক এক করে পালন করা শুরু করার দৃঢ় সংকল্প হাতে নিই।
২) হয়তো আমরা অনেকেই এই রমাযানকে ঠিকমত utilize না করতে পেরে হতাশ হয়ে পরি,মনে করি,আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা পাওয়ার অযোগ্য হয়ে পরেছি।
ভাই/আপু,
আল্লাহর ক্ষমার বিস্তৃতি যে কত বড়,তা আমাদের ধারণারও বাইরে।
আল্লাহর ক্ষমা নিয়ে একটা আলাদা নোট লিখেছিলাম,সেটা আর এখানে আলোচনা করতে চাই না। নোটটা বরং এখান থেকে পড়ে আসুন।
শুধু এটুকুই বলি,হতাশ না হয়ে,দৃঢ় মানসিকতা নিয়ে তাওবা করলে,পরবর্তীতে ঐ পাপ আর না করার দৃঢ় সংকল্প থাকলে,ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আমাদের তাওবা কবুল করবেন।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ ও জ্ঞান লাভের তাওফীক দান করুন,24/7 ইসলামের পথে থাকার তাওফীক দান করুন,তাঁকে সন্তষ্ট করে এ ইহলৌকিক জীবন নামক যাত্রা সম্পন্ন করার তাওফীক দান করুন।
আমীন।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।
সকাল সাড়ে নয়টায় ঘুম থেকে উঠলাম। ওঠার সাথে সাথে শুনতে পেলাম মসজিদের মাইক থেকে announce করা হচ্ছে,
"একটি শোক সংবাদ। অমুকের পিতা অমুক ইন্তেকাল করিয়াছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বাদ যোহর তাঁর নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হইবে।"
ঘটনা-২ :
মসজিদ থেকে আসর পরে আসলাম। জামাকাপড় change করে একটু বিছানায় বসার সাথে সাথে কর্ণকুহরে প্রবেশ করল,
"কাভি তো পাস মেরে আও.................."
এবং কর্ণকুহরে একের পর এক গান প্রবেশ করাতে বাধ্য হচ্ছি।
২৯শে রমাযান,১৪৩৪ হিজরীতে ঘটে যাওয়া ছোট্ট দুটি ঘটনা।
এ বছর ৩০টি রোজা পাওয়ার সৌভাগ্য আমাদের হল না। আজ পহেলা শাওয়াল,১৪৩৪ হিজরী। আগামীকাল পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর,আমাদের সবার খুশির ঈদ।
রমাযান আমাদের দেওয়া হয়েছিল,যেন আমরা তাক্বওয়া অর্জন করতে পারি।
তাক্বওয়া অর্জন কতটুকু হয়েছে তা নিয়ে আমাদের কোন ভ্রুক্ষেপ না থাকলেও,কত "আনন্দ" করে ঈদ উদযাপন করা যায়,তা নিয়ে মাশাআল্লাহ আমাদের চিন্তার অন্ত নেই,তা যতই ইসলামের সকল বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে হোক না কেন।
অথচ,যিনি আমাদের এখনও বাঁচিয়ে রেখেছেন,ঠিক আজ সকালে যেমন একজন মৃত্যুবরণ করলেন,তাঁর মত মৃত্যুবরণ করার আদেশ দেন নি,তাঁকে সন্তষ্ট করার কোন মাথাব্যথা আমাদের নেই।
অথচ,রমাযান দেওয়াই হয়েছিল,তাঁকে সন্তষ্ট করে কীভাবে জীবনযাপন করা যায়,তাঁর একটা reminder plus training হিসেবে।
যাই হোক,সবার প্রতি দুটো অনুরোধ থাকবে।
১) এই রমাযানে হয়তো কেউ কেউ সামান্য হলেও নতুন করে কোন ভাল কাজ করতে শুরু করেছি। কেউ পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়তাম না,রমাযানে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়তে শুরু করেছি। কেউ সিগারেট খেতাম,সিগারেট খাওয়া ছেড়েছি।
রমাযানকে সত্যি সত্যি আমরা utilize করতে পেরেছি,তার একটা বড় নিদর্শন হল,যে কাজগুলো রমাযানে করতে শুরু করেছিলাম,ঠিক সেই কাজগুলো রমাযানের পরেও করে যাওয়া।
আমরা যেন রমাযানে শুরু করা কাজগুলো আমাদের সারা জীবনে চালিয়ে নিয়ে যেওয়ার সংকল্প করি,আর ঐ কাজগুলোর সাথে সাথে অল্প করে হলেও,ইসলামের বিধানগুলো এক এক করে পালন করা শুরু করার দৃঢ় সংকল্প হাতে নিই।
২) হয়তো আমরা অনেকেই এই রমাযানকে ঠিকমত utilize না করতে পেরে হতাশ হয়ে পরি,মনে করি,আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা পাওয়ার অযোগ্য হয়ে পরেছি।
ভাই/আপু,
আল্লাহর ক্ষমার বিস্তৃতি যে কত বড়,তা আমাদের ধারণারও বাইরে।
আল্লাহর ক্ষমা নিয়ে একটা আলাদা নোট লিখেছিলাম,সেটা আর এখানে আলোচনা করতে চাই না। নোটটা বরং এখান থেকে পড়ে আসুন।
শুধু এটুকুই বলি,হতাশ না হয়ে,দৃঢ় মানসিকতা নিয়ে তাওবা করলে,পরবর্তীতে ঐ পাপ আর না করার দৃঢ় সংকল্প থাকলে,ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আমাদের তাওবা কবুল করবেন।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ ও জ্ঞান লাভের তাওফীক দান করুন,24/7 ইসলামের পথে থাকার তাওফীক দান করুন,তাঁকে সন্তষ্ট করে এ ইহলৌকিক জীবন নামক যাত্রা সম্পন্ন করার তাওফীক দান করুন।
আমীন।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।

No comments:
Post a Comment