ঘটনা-১:
রাজধানীতে পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা তাঁর স্ত্রী সহ খুন। নানা ঘটনাপ্রবাহে পুলিশের সন্দেহ, ১৬ বছর বয়সী একমাত্র মেয়ের উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণে মেয়ের প্রত্যক্ষ জোগসাজশে এই জোড়া খুন সংগঠিত হয়।
ঘটনা-২:
ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামায পড়ছিলেন এক বাবা। হঠাৎ টের পেলেন, তাঁর দুই পাশে ছোট্ট দুইটি দেহ দাঁড়িয়ে গেছে, তাঁর সাথে নামায পড়ছে। নামায শেষ হলে,সেই ছোট্ট দুইটি মানুষের বাবার কাছে অভিযোগ,"বাপু,আমাদের কেন ডাকলে না নামায পড়ার জন্য?"
বাবা টের পেলেন,তাঁর অন্তর শান্তিতে ভরে যাচ্ছে।
একই দিনে ঘটে যাওয়া দুইটা ঘটনা।
প্রথম ঘটনাটা,বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় সকল খবরের অনুষ্ঠান আর ওয়েবসাইটের হেডলাইন।
না,দ্বিতীয় ঘটনাটা কোন খবরের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া না। আমাদের পরিচিত শিবলী মেহেদী ভাইয়ের জমজ মেয়েদের ঘটানো কাণ্ড এটা,তাঁর স্ট্যাটাস থেকেই পাওয়া।
আচ্ছা,এ রকম প্রব্যাবিলিটি কতটুকু যে,শিবলী ভাইয়ের মেয়েদুটো, অথবা যে কোন একটা মেয়ে,পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে,ঐশীর মত এ রকম কোন ঘটনা ঘটাবে?
যুক্তিবিদ্যা অনুসারে,যে কোন কিছু ঘটার কিছু না কিছু প্রব্যাবিলিটি থাকেই। তাই এই ঘটনা ঘটার প্রব্যাবিলিটি আমি ধরলাম ০.০০০০..............০০০১%। অর্থ্যাৎ ,প্রায় শুন্য।
কারণ এই মেয়েদুটো ইসলাম জেনেবুঝে বড় হচ্ছে। তারা জানে,তাদের বাবা-মা তাদের কত বড় সম্পদ। আর তারা "শুধু" এটা জানেই না,তারা এটা "বোঝেও"।
সবচেয়ে বড় কথা,তারা এটা বুঝেই বড় হচ্ছে, তাদের প্রতিটা কর্মকাণ্ডের পাইপাই করে হিসাব,তাদের আল্লাহর কাছে দিতে হবে।
অথচ এটা তো প্রত্যেক মুসলিমের মূলমন্ত্র হওয়ার কথা ছিল। প্রত্যেকটা মুসলিম ছেলেমেয়ের এই ধ্যানধারণা নিয়ে বেড়ে ওঠার কথা ছিল।
কিন্ত কেন আমাদের মুসলিম তরুণ প্রজন্মের এই অবক্ষয়?
খুবই সিম্পল কারণ।
আমরা আমাদের বাচ্চাদের শিখাই,এই দুনিয়াই তোমাদের সব। এই দুনিয়ায় তোমাদের সব আদায় করতে হবে। Successful হতে হবে।
কিন্ত আমরা এটা ভুলে যাই,তাদের success-এর সংজ্ঞার সাথে আমাদের success-এর সংজ্ঞা নাও মিলতে পারে।
আর হবেই না কেন? তাদের সামনে নিয়ে আমরা হিন্দি মুভি দেখব,যার মূলমন্ত্র,"তোমাকে না পেলে আমি বাঁচব না প্রিয়া",মাঝখানে অ্যাড দেখব,"বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল",আর এক্সপেক্ট করব,তারা আমাদের বন্ধু বলে মেনে নেবে? আমাদের success-এর সংজ্ঞাকে তাদের success-এর সংজ্ঞা করে নেবে?
অথচ আল্লাহ কতই না সুন্দর করে বলেছেন, যাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে আর জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে,সেই সফল।
আর নোমান আলী খানের কথায় বলি,মা-বাবার সাথে খারাপ সম্পর্ক থাকা জাহান্নামের রাস্তা ক্লিয়ার করার অন্যতম একটা উপায়।
আর এটা প্রায় সকল মনীষীই বলে গেছেন,তাঁরাই তত সাদা মনের মানুষ, যাঁদের নিজ নিজ মা-বাবার সাথে সম্পর্ক যত ভাল।
ড. বিলাল ফিলিপস যেমন বলেছেন,ইসলামের প্রতিটি আদেশ-নির্দেশ শুধুমাত্র একটি কারণেই,আর তা হল,মানবিক গুণাবলির চূড়ান্ত বিকাশ ঘটানো।
আর সেখানে,বর্তমানে এমন "মুসলিম" ছেলেমেয়ের দেখাও আজকাল পাওয়া যায়,সূরা ফাতিহা মুখস্ত বলতে পারা তো দূরের কথা,ঠিকমত শোনেও নি!
নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্র হল,"প্রত্যেক ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।"
ঠিক সেই রকম,আমরা যা করছি,ঠিক সেই রকমই ফল পাচ্ছি।
রাজধানীতে পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা তাঁর স্ত্রী সহ খুন। নানা ঘটনাপ্রবাহে পুলিশের সন্দেহ, ১৬ বছর বয়সী একমাত্র মেয়ের উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণে মেয়ের প্রত্যক্ষ জোগসাজশে এই জোড়া খুন সংগঠিত হয়।
ঘটনা-২:
ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামায পড়ছিলেন এক বাবা। হঠাৎ টের পেলেন, তাঁর দুই পাশে ছোট্ট দুইটি দেহ দাঁড়িয়ে গেছে, তাঁর সাথে নামায পড়ছে। নামায শেষ হলে,সেই ছোট্ট দুইটি মানুষের বাবার কাছে অভিযোগ,"বাপু,আমাদের কেন ডাকলে না নামায পড়ার জন্য?"
বাবা টের পেলেন,তাঁর অন্তর শান্তিতে ভরে যাচ্ছে।
একই দিনে ঘটে যাওয়া দুইটা ঘটনা।
প্রথম ঘটনাটা,বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় সকল খবরের অনুষ্ঠান আর ওয়েবসাইটের হেডলাইন।
না,দ্বিতীয় ঘটনাটা কোন খবরের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া না। আমাদের পরিচিত শিবলী মেহেদী ভাইয়ের জমজ মেয়েদের ঘটানো কাণ্ড এটা,তাঁর স্ট্যাটাস থেকেই পাওয়া।
আচ্ছা,এ রকম প্রব্যাবিলিটি কতটুকু যে,শিবলী ভাইয়ের মেয়েদুটো, অথবা যে কোন একটা মেয়ে,পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে,ঐশীর মত এ রকম কোন ঘটনা ঘটাবে?
যুক্তিবিদ্যা অনুসারে,যে কোন কিছু ঘটার কিছু না কিছু প্রব্যাবিলিটি থাকেই। তাই এই ঘটনা ঘটার প্রব্যাবিলিটি আমি ধরলাম ০.০০০০..............০০০১%। অর্থ্যাৎ ,প্রায় শুন্য।
কারণ এই মেয়েদুটো ইসলাম জেনেবুঝে বড় হচ্ছে। তারা জানে,তাদের বাবা-মা তাদের কত বড় সম্পদ। আর তারা "শুধু" এটা জানেই না,তারা এটা "বোঝেও"।
সবচেয়ে বড় কথা,তারা এটা বুঝেই বড় হচ্ছে, তাদের প্রতিটা কর্মকাণ্ডের পাইপাই করে হিসাব,তাদের আল্লাহর কাছে দিতে হবে।
অথচ এটা তো প্রত্যেক মুসলিমের মূলমন্ত্র হওয়ার কথা ছিল। প্রত্যেকটা মুসলিম ছেলেমেয়ের এই ধ্যানধারণা নিয়ে বেড়ে ওঠার কথা ছিল।
কিন্ত কেন আমাদের মুসলিম তরুণ প্রজন্মের এই অবক্ষয়?
খুবই সিম্পল কারণ।
আমরা আমাদের বাচ্চাদের শিখাই,এই দুনিয়াই তোমাদের সব। এই দুনিয়ায় তোমাদের সব আদায় করতে হবে। Successful হতে হবে।
কিন্ত আমরা এটা ভুলে যাই,তাদের success-এর সংজ্ঞার সাথে আমাদের success-এর সংজ্ঞা নাও মিলতে পারে।
আর হবেই না কেন? তাদের সামনে নিয়ে আমরা হিন্দি মুভি দেখব,যার মূলমন্ত্র,"তোমাকে না পেলে আমি বাঁচব না প্রিয়া",মাঝখানে অ্যাড দেখব,"বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল",আর এক্সপেক্ট করব,তারা আমাদের বন্ধু বলে মেনে নেবে? আমাদের success-এর সংজ্ঞাকে তাদের success-এর সংজ্ঞা করে নেবে?
অথচ আল্লাহ কতই না সুন্দর করে বলেছেন, যাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে আর জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে,সেই সফল।
আর নোমান আলী খানের কথায় বলি,মা-বাবার সাথে খারাপ সম্পর্ক থাকা জাহান্নামের রাস্তা ক্লিয়ার করার অন্যতম একটা উপায়।
আর এটা প্রায় সকল মনীষীই বলে গেছেন,তাঁরাই তত সাদা মনের মানুষ, যাঁদের নিজ নিজ মা-বাবার সাথে সম্পর্ক যত ভাল।
ড. বিলাল ফিলিপস যেমন বলেছেন,ইসলামের প্রতিটি আদেশ-নির্দেশ শুধুমাত্র একটি কারণেই,আর তা হল,মানবিক গুণাবলির চূড়ান্ত বিকাশ ঘটানো।
আর সেখানে,বর্তমানে এমন "মুসলিম" ছেলেমেয়ের দেখাও আজকাল পাওয়া যায়,সূরা ফাতিহা মুখস্ত বলতে পারা তো দূরের কথা,ঠিকমত শোনেও নি!
নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্র হল,"প্রত্যেক ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।"
ঠিক সেই রকম,আমরা যা করছি,ঠিক সেই রকমই ফল পাচ্ছি।
No comments:
Post a Comment