মাশাআল্লাহ,আমরা ইসলাম বুঝি,ইসলাম মানার যথাসাধ্য চেষ্টা করি। আগে যাই ছিলাম না কেন,যাই করতাম না কেন,এখন আল্লাহর প্রতি আনুগত্যই আমাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য।
কিন্ত আমরা এটা কি মানি,জ্ঞান ধীরে ধীরে উঠে যাবে?
ইসলাম মানার অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে,সালাফদের অনুসরণ করা,তাঁরা যেভাবে ইসলাম বুঝেছিলেন,তার চেয়ে বেশি বুঝতে চেষ্টা না করা,যতই আমাদের মন মানতে না চাক। কারণ প্রকৃত জ্ঞান ধীরে ধীরে দুনিয়া থেকে হারিয়ে যাবে।
এবার একজন সালাফের একটা কথা বলি।
"রাসূলুল্ললাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে নিষেধ করেছেন,যতক্ষণ পর্যন্ত তারা সলাত কায়েম করবে,যদিও তারা অত্যাচারী হয়।
তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ফলে যে বড় ধরণের বিপর্যয় ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে,সে পথ রুদ্ধ করার জন্যই এ নির্দেশ।
কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ যদি আরও বড় ধরণের অন্যায়ের আবির্ভাব ঘটায়,তাহলে তা হবে সমস্ত অন্যায়,অনাচার ও ফিতনার মূল।
বাস্তবিকই পূর্ববর্তীকালে এমনটি ঘটেছিল শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে যুদ্ধ করার কারণে। ফলে তারা যে পরিমাণ মন্দ ও বিশৃঙ্খল অবস্থায় ছিল,তার চেয়ে বহু বহু গুণে মন্দের মধ্যে পড়ে যায় শুধুমাত্র রাষ্ট্রের আনুগত্য হতে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে।"
কথাগুলো ইবনুল কাইয়্যিম জাওযিয়া রাহিমাহুল্লার।
আজকের প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটা খবরের কিছু অংশ কপি-পেস্ট করি।
"মিসরের চলমান সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে এবং দেশটির ভবিষ্যৎ মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এ ধারণা সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষেরই। আর তাদের এই ধারণা অনেকটাই ঠিক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করছেন, কায়রোর রাজপথসহ মিসরজুড়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার জের টানতে হবে দেশটির পরবর্তী প্রজন্মকেও। আরব বসন্তের তোড়ে মাত্র ২০১১ সালেই প্রায় তিন দশকের স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতন হলে জনগণের মধ্যে আনন্দের ঢেউ বয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা সুদূর-অতীতের গল্প বলে মনে হচ্ছে। এখন দেশটিতে ‘শুধু জয়ীরাই সব কিছু পাবে’—এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিবিসি।"
এই খবরটার সাথে ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহর বলা কথাগুলো মিলিয়ে দেখুন তো,কে সঠিক?
আবেগের তোড়ে ভেসে যাওয়া,স্বল্পজ্ঞান সম্পন্ন কিছু আধুনিক "স্কলার",না ইসলামী জ্ঞানে সমৃদ্ধ সালাফগণ?
কিন্ত আমরা এটা কি মানি,জ্ঞান ধীরে ধীরে উঠে যাবে?
ইসলাম মানার অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে,সালাফদের অনুসরণ করা,তাঁরা যেভাবে ইসলাম বুঝেছিলেন,তার চেয়ে বেশি বুঝতে চেষ্টা না করা,যতই আমাদের মন মানতে না চাক। কারণ প্রকৃত জ্ঞান ধীরে ধীরে দুনিয়া থেকে হারিয়ে যাবে।
এবার একজন সালাফের একটা কথা বলি।
"রাসূলুল্ললাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে নিষেধ করেছেন,যতক্ষণ পর্যন্ত তারা সলাত কায়েম করবে,যদিও তারা অত্যাচারী হয়।
তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ফলে যে বড় ধরণের বিপর্যয় ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে,সে পথ রুদ্ধ করার জন্যই এ নির্দেশ।
কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ যদি আরও বড় ধরণের অন্যায়ের আবির্ভাব ঘটায়,তাহলে তা হবে সমস্ত অন্যায়,অনাচার ও ফিতনার মূল।
বাস্তবিকই পূর্ববর্তীকালে এমনটি ঘটেছিল শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে যুদ্ধ করার কারণে। ফলে তারা যে পরিমাণ মন্দ ও বিশৃঙ্খল অবস্থায় ছিল,তার চেয়ে বহু বহু গুণে মন্দের মধ্যে পড়ে যায় শুধুমাত্র রাষ্ট্রের আনুগত্য হতে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে।"
কথাগুলো ইবনুল কাইয়্যিম জাওযিয়া রাহিমাহুল্লার।
আজকের প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটা খবরের কিছু অংশ কপি-পেস্ট করি।
"মিসরের চলমান সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে এবং দেশটির ভবিষ্যৎ মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এ ধারণা সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষেরই। আর তাদের এই ধারণা অনেকটাই ঠিক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করছেন, কায়রোর রাজপথসহ মিসরজুড়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার জের টানতে হবে দেশটির পরবর্তী প্রজন্মকেও। আরব বসন্তের তোড়ে মাত্র ২০১১ সালেই প্রায় তিন দশকের স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতন হলে জনগণের মধ্যে আনন্দের ঢেউ বয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা সুদূর-অতীতের গল্প বলে মনে হচ্ছে। এখন দেশটিতে ‘শুধু জয়ীরাই সব কিছু পাবে’—এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিবিসি।"
এই খবরটার সাথে ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহর বলা কথাগুলো মিলিয়ে দেখুন তো,কে সঠিক?
আবেগের তোড়ে ভেসে যাওয়া,স্বল্পজ্ঞান সম্পন্ন কিছু আধুনিক "স্কলার",না ইসলামী জ্ঞানে সমৃদ্ধ সালাফগণ?
No comments:
Post a Comment