Friday, August 30, 2013

আলেম "জানেন না"!!!

প্রশ্নঃ সূরা নাহলের ৪৩ নম্বর আয়াতে বলা আছে,"তোমরা যদি না জানো তাহলে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস করে জেনে নাও।"

কিন্ত বর্তমানে কিছু যুবকের কাছে যখন এটা বলা হয়,তখন তারা বলে,"শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী,শায়খ আব্দুল আযীয বিন বায,তাঁরা ফিকহ এবং হাদীস বিষয়ে অভিজ্ঞ। কিন্ত জিহাদের বিষয়ে তাঁদের কোন অভিজ্ঞতা নেই।"

তাহলে এ ব্যাপারে কে অভিজ্ঞ? কার কাছ থেকে আমরা সঠিক দিকনির্দেশনা নিতে পারি?

শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানীঃ

হুম,কথাটা কিন্ত এক অর্থে ঠিক! শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী,শায়খ আব্দুল আযীয বিন বায,তাঁরা কেউই এটাও জানেন না যে একটা অস্র কীভাবে বহন করতে হয়।

কিন্ত তার মানে কি এই,তাঁরা জিহাদ সম্পর্কে অজ্ঞ?

প্রশ্নকর্তাঃ অবশ্যই না।

শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানীঃ

তাহলে এই বক্তব্যের ভিত্তি কী???

এটা ঐ যুবকদের প্রতি শয়তানের প্রলোভন ব্যতীত আর কিছুই না। সে তাদের কাছে তাদের বক্তব্য,যেটা সম্পূর্ণরুপে কুরআন এবং সুন্নাহ বিরোধী,তা সঠিক বলে তুলে ধরে তাদের পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা করছে।

প্রশ্নকর্তাঃ আরেকটা প্রশ্ন। যখন তাদের কাছে এটা তুলে ধরা হয়,তারা বলে,"শায়খ আলবানী এবং শায়খ বিন বায,তাঁদের কারোরই "বাস্তব" সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। আমরা বাস্তবে (জিহাদের ময়দানে) অবস্থান করছি,আর শায়খ আলবানী (তাঁর ঘরে বসে) বই লিখছেন!"

শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানীঃ

ও তাই? আচ্ছা ঠিক আছে,তারা আমাকে একটা "বাস্তব" কাহিনী তুলে ধরে সেটার "সঠিক" সিদ্ধান্তটা আমার কাছে তুলে ধরুক,আমি তাদের কাছ থেকে শিখে নিই!

জেনে রাখুন,বাস্তবতা নিজের চোখে দেখার মানে এই নয় যে এই বাস্তবতা আপনাকে ঐ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিতে পারে। কোন কিছুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র দুটো জিনিস থেকেই নেওয়া যায়,আল্লাহর কিতাব এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ!

কী গোঁড়ামি,সুবহানআল্লাহ!!!

পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে আলেমদের কাছে যখন প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়,তাদের মধ্যে প্রচুর প্রশ্ন থাকে যা "বাস্তবে ঘটে গেছে"! এখন প্রত্যেক আলেম কি ঐ ঘটনাগুলোর প্রত্যেকটা ঘটার সময় সেখানে উপস্থিত থেকে "বাস্তবতা অনুভব করেছিলেন",না কি প্রশ্নকর্তা "বাস্তবে যা ঘটেছে",সেটাই তার প্রশ্নে উত্থাপন করে থাকেন?

যেহেতু প্রশ্নকর্তা,ঘটনা ঘটার সময়,"বাস্তবে" উপস্থিত ছিলেন,তাহলে তিনি নিজে নিজে কেন সিদ্ধান্ত নেন না,কেন ঐ সিদ্ধান্ত নিতে আলেমের কাছে আসেন?

কারণ একটাই। প্রশ্নকর্তা জানেন যে,আলেম "প্রত্যক্ষভাবে" ঐ ঘটনা ঘটার সময় উপস্থিত না থাকলেও,এ ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্তটা কি হবে,তা জানেন,তা কেউ পছন্দ করুক,বা না করুক।

এখন,সেই যুবকেরা,তারা ভাবছে যে "যেহেতু" তারা বাস্তবতাকে নিজে প্রত্যক্ষ করছে,"তাই" তাদের সিদ্ধান্তই সঠিক,যতই তারা কুরআন এবং হাদীস সম্পর্কে অজ্ঞ হোক না কেন! কী চমৎকার!

তারা এই বিষয়ে সম্বন্ধে "সম্যক অবগত",আল্লাহ তাদের এই জ্ঞানকে বরকত দান করুন,কিন্ত তার মানে এই নয় যে,এই বাস্তবতাই ঐ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিতে পারে। যেমন আল্লাহ কুরআনে বলেছেন,ঠিক তেমনিভাবে কোন ব্যাপারে সিদ্ধান্ত "একমাত্র" আলেমরাই দিতে পারেন,কুরআন হাদীস ফিকহ বিষয়ে অজ্ঞ কেউ নয়।

এটা খুবই স্বাভাবিক যে,আলেমদের যা যা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে,তার "প্রত্যেকটা" সম্পর্কে তাঁদের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকবে না। যার কারণে,কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য "বাস্তব অভিজ্ঞতা" কোন শর্ত নয়।

আসলে সত্যি বলতে,তাদের নিজেদের উক্তি থেকেই স্পষ্ট যে তারা ভ্রান্তির মধ্যে ডুবে আছে। অর্থ্যাৎ,যদিও তারা "বাস্তবতা" সম্পর্কে সম্যক অবগত,তারপরও তাদের জ্ঞানের বিভ্রান্তির কারণে তারা ভ্রান্তিতে নিপতিত হয়েছে।

হে আমার ভাই,অবশ্যই প্রত্যক্ষভাবে কোন ব্যক্তি যে সমস্যার সম্মুখীন হন,ঐ সমস্যা সম্পর্কে তিনি,যে আলেমের কাছে ঐ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চাচ্ছেন,তাঁর (আলেম) থেকে বেশি অবগত। কিন্ত কখনোই আলেমের কাছে জিজ্ঞাসা করা ব্যতীত নিজে নিজে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারেন না,এটাই বাস্তব। ঠিক এভাবেই আমরা কুরআনের সূরা নাহলের ৪৩ নম্বর আয়াতটা দিয়ে ঐ যুবকদের উত্তর দিয়ে থাকি।

বর্তমানে বেশ কিছু "জিহাদী দল" প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারা কী চায়? তারা আল্লাহর রাস্তায় সংগ্রাম করতে চায়। ঠিক আছে। কিন্ত আলেমগণ এবং সত্যানুসন্ধানী ব্যক্তিবর্গ জিহাদ সম্পর্কে জানেন না (আর জানলেও বলেন না),এটা কি সম্ভব???

সুবহানআল্লাহ... আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করি।

মূল পোস্টঃ

Doubt: Scholars don’t know Current events – Answered by Shaykh Al Albani (rahimahullaah)

কৃতজ্ঞতাঃ 

বাংলাদেশী আতাহারী

Tuesday, August 27, 2013

ঈমানের স্বাদ

আলহামদুলিল্লাহ,পূর্বের জীবনে প্র্যাকটিসিং মুসলিম না হলেও,বই পড়ার অভ্যাসের কারণে ইসলাম বিষয়ে একেবারেই ক-অক্ষর গোমাংস কখনোই ছিলাম না,কিছু জেনারেল ইসলামিক ইতিহাসের সাথে পরিচয় ভালমতনই ছিল।

আজকে একটা ভিডিওতে ইউসুফ আলাইহিস সালামের সেই অসাধারণ কাহিনীটা আবার দেখলাম।

আমি জানি,প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের বোনদের এটা কল্পনার বাইরে,কিন্ত আমরা ছেলেরা এটা ভালভাবেই বুঝি,রুদ্ধদার কক্ষে একজন নারী নিজে থেকে যদি আদিম খেলায় মেতে ওঠার আহবান জানায়,ছেলেদের পক্ষে সেটা দূরে ঠেলে দেওয়া কতটা দুঃসাধ্য।

কিন্ত ইউসুফ আলাইহিস সালাম সেটাই করে দেখিয়েছিলেন।

প্র্যাকটিসিং মুসলিম হওয়ার পর,একটা অবাক করা জিনিস আমার সাথেও ঘটছে।

অনেকের কাছেই মনে হতে পারে,নিজের ঢোল নিজে পিটাচ্ছি।

কিন্ত আসলেই যখন রাস্তায় হাঁটতে থাকা মেয়েদের দিকে চোখ পড়লেও নিজেই সরিয়ে নেই,যেখানে ফ্রি মিক্সিংয়ের হাটবাজার,নিতান্ত প্রয়োজন না হলে তখন সচেতনভাবেই সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নেই,তখন একটা জিনিস অনুভব করি।

আর এখন বুঝি,আমার মত নিতান্ত অধম বান্দার মধ্যেও যদি সামান্য পরিমাণে এই জিনিস থাকে,তাহলে ইউসুফ আলাইহিস সালামের মত পবিত্র নবীর পক্ষে সেটা কী পরিমাণ ধারণ করা সম্ভব!

এটাকে আসলে ব্যাখ্যা করা যায় না। এ জন্য কেউ যদি ব্যাখ্যা দাবি করেন,এটা আমি দিতেও পারব না।
এটা completely অনুভব করার জিনিস।

যে অনুভবের জন্য ইউসুফ আলাইহিস সালাম অপূর্ব সুন্দরী এক নারীকে উপভোগ করার আবেদন ফিরিয়ে দিতে পারেন।

যে অনুভবের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলিষ্ঠ কণ্ঠে বলতে পারেন,তাঁর এক হাতে চাঁদ আর অন্য হাতে সূর্য এনে দিলেও আল্লাহর দ্বীন প্রচারে পিছপা হবেন না।

যে অনুভবের জন্য বিলাল রাযিআল্লাহু আনহু তপ্ত বালুর নিচে শুয়ে সূর্যের দিকে তাকিয়ে প্রবল তৃষ্ণার্ত অবস্থাতেও "আহাদ,আহাদ" (আল্লাহ এক,আল্লাহ এক) বলতে পারেন।

বিশ্বাস করেন,এটা একবার পেলে,এই জীবনের কোন কিছুতেই কিছু এসে যায় না।

এর নাম "ঈমানের স্বাদ"।

Friday, August 23, 2013

HOW FUNNY

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে যুল খুওয়াইসিরা বেয়াদবি করে চলে যাচ্ছিল,তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন,যুল খুওয়াইসিরার অনুগামীরা ইসলামের মধ্যে প্রবেশ করে আবার বেরিয়ে যাবে। আর তিনি ঘোষণা করেছিলেন,তিনি যদি তাদেরকে পান,সামূদ জাতির মত এই সম্প্রদায়কে হত্যা করে নিশ্চিহ্ন করে দেবেন। পরবর্তীতে এই নির্দেশও তিনি দিয়ে যান,যেখানেই তাদেরকে পাওয়া যায়,তাদেরকে হত্যা করতে,কারণ তাদের হত্যা করলে পুরষ্কার রয়েছে।

আমরা সবাই জানি,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে পান নি। পেয়েছিলেন আলী রাযিআল্লাহু আনহু এবং অন্যান্য সাহাবীরা।

এই খারেজিরা অনেক সাহাবীসহ বহু মুসলিমকে বিনা বিচারে "কাফির" আখ্যায়িত করে হত্যা করেছে।

সাহাবীরাও কি তাই করেছিলেন?

না,তা তাঁরা করেন নি। বরং যুদ্ধের ময়দান ব্যতীত কোন খারেজিকে হত্যা করা তো দূরের কথা,তাঁরা তাদের সাথে মিশেছেন,সালাম বিনিময় করেছেন,এমন কী তাদের ইমামতিতে নামায পর্যন্ত পরেছেন।

এর মানে কী,সাহাবীরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা মানেন নি,খারেজিদের সাথে আপোষ করেছেন (নাউযুবিল্লাহ মিন জালিক)?

মোটেই তা না। কারণ স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীদের নির্ভরযোগ্যতার সংজ্ঞা দিয়ে গেছেন। আর তাঁরা যেভাবে ইসলাম বুঝেছেন,সেটাই প্রকৃত ইসলাম।

তাই সালাফী আলেমগণ সব সময় চেষ্টা করেন,কোন একটা ঘটনার প্রেক্ষিতে সালাফগণ কী ব্যাখ্যা দিয়ে গেছেন,বা কী কাজ করেছেন,সেটা অনুযায়ী similar কোন পরিস্থিতিকে ব্যাখ্যা করতে,ঐ অনুযায়ী ফতোয়া দিতে।

যাদের তাফসীরসহ পুরো কুরআন মুখস্থ,লক্ষ লক্ষ হাদীস সনদ সহ মুখস্ত,জিজ্ঞাসা করলেই যাঁরা মনে দিতে পারেন এই হাদীস সহীহ,ঐ হাদীস হাসান,ঐ হাদীস যঈফ,ঐ হাদীস জাল,তাঁরাও নিজেরা কোন ফতোয়া দেওয়ার আগে দেখেছেন সালাফদের ব্যাখ্যা কী,তারপরই ফতোয়া দিয়েছেন!

আর এখন,একদল মুসলিম,তাঁরা এই সকল সম্মানিত শায়খদের judge করেন। তাঁরা বলেন,"এই এই" বিষয়ে সালাফী আলেমগণের কথা মানা যেতে পারে,আর "ঐ ঐ' বিষয়ে মানা যাবে না! আর একদল তো মাশাআল্লাহ,তাঁদের চোখে এই সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ "দরবারী আলেম" ছাড়া কিছুই নন।

অথচ,এই "বিজ্ঞ" ব্যক্তিরা মাত্র একটা হাদীসের authenticity judge করতে সক্ষম নন!

তায়াম্মুম নিয়ে একটা প্রসিদ্ধ হাদীস আমরা প্রায় সবাই জানি,যেখানে জাবের রাযিআল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছিলেন যে এক লোক মাথায় আঘাত পাওয়ার পর যার স্বপ্নদোষ হয়ে যায়,কিন্ত তাঁর সঙ্গীগণ তাঁকে গোসল করতে বলেন। যার ফলে তিনি মারা যান।

এ খবর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে পৌঁছানোর পর তিনি কী বলেছিলেন,মনে আছে?

"ওরা ওকে মেরে ফেলল,আল্লাহ ওদেরকে ধ্বংস করুন! ওরা যদি না জানত,তাহলে জেনে কেন নেয় নি? অজ্ঞতার ওষুধ তো প্রশ্নই।"

কুরআনে আল্লাহও বলে দিয়েছেন,যদি আমরা না জানি,তাহলে যাঁরা জানেন,তাঁদের কাছ থেকে যেন জেনে নিই।

এভাবে প্রচুরভাবে আলেমদের আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আলেমদের সম্মানিত করে গেছেন।

আর যখন এই "বিজ্ঞ" ব্যক্তিবর্গ,যাঁরা একটি হাদীসের সনদ যাচাই তো দূরের কথা,বই না দেখে বা নেট না ঘেঁটে হাদীসটা কোন কোন বইয়ে আছে,এটুকুই বলতে পারেন না,আবার সম্মানিত আলেমদের judge করতে আসেন,তখন একটা কথাই বলতে ইচ্ছা করে।

HOW FUNNY!!!




Thursday, August 22, 2013

চলো পাল্টাই - শায়খ আসিম আল হাকিম

বর্তমানে পৃথিবীর যে প্রান্তেই তাকাই না কেন,দেখি মুসলিমদের উপর চলা একের পর এক নির্যাতনের দৃশ্য। দেখে মনে হয়,এটা যেন সকলের দৈনন্দিন কাজের অংশ!

দুনিয়ার মানুষ মিয়ানমারের মুসলিমদের কথা এখন ভুলে গেছে। কেউই জানে না,ইরাকের সুন্নি মুসলিমদের এখন কী অবস্থা।

যখন সিরিয়ায় "আরব বসন্তের" ছোঁয়া এসে লাগে,তখন ফিলিস্তিন সংকট দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যায়। আবার যখন মিসরে মিলিটারি ক্যু আর সেনা অভিযান সংঘটিত হয়,তখন আমরা সিরিয়ার কথা ভুলে যাই।

আর আজকের ব্রেকিং নিউজ,"সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রের হামলা,হাজার লোকের মৃত্যু।"

আজ বিকেলে একজন মিসরীয় ভাই আমাকে প্রশ্ন করলেন,"কেন আল্লাহ এ সব হতে দিচ্ছেন?"

প্রথমত,আল্লাহর প্রতি এমন অভিযোগ কুফরীর দিকে ঠেলে দিতে পারে! সুতরাং,বেঁফাস কোন কথা বলা থেকে সাবধান হোন।

যাই হোক,কুরআনে আল্লাহ কিন্ত বলেই দিয়েছেন,"আল্লাহ চাইলে নিজেই তাদের সাথে বোঝাপড়া করতেন৷ কিন্তু (তিনি এ পন্থা গ্রহণ করেছেন এ জন্য) যাতে তোমাদেরকে পরস্পরের দ্বারা পরীক্ষা করেন৷"

যা ঘটছে,তার সবকিছুই আমাদের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ। আল্লাহ খুব সহজেই এ সবকিছু শেষ করে দিতে পারেন। একটু নূহ আলাইহিস সালামের সম্প্রদায়ের উপর আসা বন্যার দিকে খেয়াল করুন। সাথে মনে করুন আদ জাতির উপর আসা ভয়ংকর প্রলয়ংকরী মরু ঝড় আর সামূদ জাতির উপর আকাশ থেকে নেমে আসা বজ্র আওয়াজের কথা। 

তিনিই আল্লাহ,যিনি সর্বশক্তিমান,মহা প্রতাপশালী,প্রজ্ঞাময়। আমরা তাঁর কাছ থেকেই এসেছি,আর তাঁর কাছেই আমাদের প্রত্যার্পন।

অতএব,আসুন নিজেদের পাল্টাই,যাতে তিনি তাঁর অসীম দয়া আর করুণায় আমাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে পরিবর্তন করে দেন।

তা না হলে,আমাদের চারপাশে যা কিছু ঘটছে,তা খুব সহজেই আমাদের সাথেও ঘটা শুরু হতে পারে।

- শায়খ আসিম আল-হাকিম।

Saturday, August 17, 2013

নিউটনের তৃতীয় সূত্র ও আমরা

ঘটনা-১:

রাজধানীতে পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা তাঁর স্ত্রী সহ খুন। নানা ঘটনাপ্রবাহে পুলিশের সন্দেহ, ১৬ বছর বয়সী একমাত্র মেয়ের উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণে মেয়ের প্রত্যক্ষ জোগসাজশে এই জোড়া খুন সংগঠিত হয়।

ঘটনা-২:

ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামায পড়ছিলেন এক বাবা। হঠাৎ টের পেলেন, তাঁর দুই পাশে ছোট্ট দুইটি দেহ দাঁড়িয়ে গেছে, তাঁর সাথে নামায পড়ছে। নামায শেষ হলে,সেই ছোট্ট দুইটি মানুষের বাবার কাছে অভিযোগ,"বাপু,আমাদের কেন ডাকলে না নামায পড়ার জন্য?"

বাবা টের পেলেন,তাঁর অন্তর শান্তিতে ভরে যাচ্ছে।

একই দিনে ঘটে যাওয়া দুইটা ঘটনা।

প্রথম ঘটনাটা,বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় সকল খবরের অনুষ্ঠান আর ওয়েবসাইটের হেডলাইন।

না,দ্বিতীয় ঘটনাটা কোন খবরের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া না। আমাদের পরিচিত শিবলী মেহেদী ভাইয়ের জমজ মেয়েদের ঘটানো কাণ্ড এটা,তাঁর স্ট্যাটাস থেকেই পাওয়া।
 
আচ্ছা,এ রকম প্রব্যাবিলিটি কতটুকু যে,শিবলী ভাইয়ের মেয়েদুটো, অথবা যে কোন একটা মেয়ে,পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে,ঐশীর মত এ রকম কোন ঘটনা ঘটাবে?

যুক্তিবিদ্যা অনুসারে,যে কোন কিছু ঘটার কিছু না কিছু প্রব্যাবিলিটি থাকেই। তাই এই ঘটনা ঘটার প্রব্যাবিলিটি আমি ধরলাম ০.০০০০..............০০০১%। অর্থ্যাৎ ,প্রায় শুন্য।

কারণ এই মেয়েদুটো ইসলাম জেনেবুঝে বড় হচ্ছে। তারা জানে,তাদের বাবা-মা তাদের কত বড় সম্পদ। আর তারা "শুধু" এটা জানেই না,তারা এটা "বোঝেও"।

সবচেয়ে বড় কথা,তারা এটা বুঝেই বড় হচ্ছে, তাদের প্রতিটা কর্মকাণ্ডের পাইপাই করে হিসাব,তাদের আল্লাহর কাছে দিতে হবে।

অথচ এটা তো প্রত্যেক মুসলিমের মূলমন্ত্র হওয়ার কথা ছিল। প্রত্যেকটা মুসলিম ছেলেমেয়ের এই ধ্যানধারণা নিয়ে বেড়ে ওঠার কথা ছিল।

কিন্ত কেন আমাদের মুসলিম তরুণ প্রজন্মের এই অবক্ষয়?

খুবই সিম্পল কারণ।

আমরা আমাদের বাচ্চাদের শিখাই,এই দুনিয়াই তোমাদের সব। এই দুনিয়ায় তোমাদের সব আদায় করতে হবে। Successful হতে হবে।

কিন্ত আমরা এটা ভুলে যাই,তাদের success-এর সংজ্ঞার সাথে আমাদের success-এর সংজ্ঞা নাও মিলতে পারে।

আর হবেই না কেন? তাদের সামনে নিয়ে আমরা হিন্দি মুভি দেখব,যার মূলমন্ত্র,"তোমাকে না পেলে আমি বাঁচব না প্রিয়া",মাঝখানে অ্যাড দেখব,"বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল",আর এক্সপেক্ট করব,তারা আমাদের বন্ধু বলে মেনে নেবে? আমাদের success-এর সংজ্ঞাকে তাদের success-এর সংজ্ঞা করে নেবে?

অথচ আল্লাহ কতই না সুন্দর করে বলেছেন, যাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে আর জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে,সেই সফল।

আর নোমান আলী খানের কথায় বলি,মা-বাবার সাথে খারাপ সম্পর্ক থাকা জাহান্নামের রাস্তা ক্লিয়ার করার অন্যতম একটা উপায়।

আর এটা প্রায় সকল মনীষীই বলে গেছেন,তাঁরাই তত সাদা মনের মানুষ, যাঁদের নিজ নিজ মা-বাবার সাথে সম্পর্ক যত ভাল।

ড. বিলাল ফিলিপস যেমন বলেছেন,ইসলামের প্রতিটি আদেশ-নির্দেশ শুধুমাত্র একটি কারণেই,আর তা হল,মানবিক গুণাবলির চূড়ান্ত বিকাশ ঘটানো।

আর সেখানে,বর্তমানে এমন "মুসলিম" ছেলেমেয়ের দেখাও আজকাল পাওয়া যায়,সূরা ফাতিহা মুখস্ত বলতে পারা তো দূরের কথা,ঠিকমত শোনেও নি!

নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্র হল,"প্রত্যেক ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।"

ঠিক সেই রকম,আমরা যা করছি,ঠিক সেই রকমই ফল পাচ্ছি।


Friday, August 16, 2013

আবেগ বনাম সালাফদের নির্দেশ

মাশাআল্লাহ,আমরা ইসলাম বুঝি,ইসলাম মানার যথাসাধ্য চেষ্টা করি। আগে যাই ছিলাম না কেন,যাই করতাম না কেন,এখন আল্লাহর প্রতি আনুগত্যই আমাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য।

কিন্ত আমরা এটা কি মানি,জ্ঞান ধীরে ধীরে উঠে যাবে?

ইসলাম মানার অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে,সালাফদের অনুসরণ করা,তাঁরা যেভাবে ইসলাম বুঝেছিলেন,তার চেয়ে বেশি বুঝতে চেষ্টা না করা,যতই আমাদের মন মানতে না চাক। কারণ প্রকৃত জ্ঞান ধীরে ধীরে দুনিয়া থেকে হারিয়ে যাবে।

এবার একজন সালাফের একটা কথা বলি।

"রাসূলুল্ললাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে নিষেধ করেছেন,যতক্ষণ পর্যন্ত তারা সলাত কায়েম করবে,যদিও তারা অত্যাচারী হয়।

তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ফলে যে বড় ধরণের বিপর্যয় ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে,সে পথ রুদ্ধ করার জন্যই এ নির্দেশ।

কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ যদি আরও বড় ধরণের অন্যায়ের আবির্ভাব ঘটায়,তাহলে তা হবে সমস্ত অন্যায়,অনাচার ও ফিতনার মূল।

বাস্তবিকই পূর্ববর্তীকালে এমনটি ঘটেছিল শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে যুদ্ধ করার কারণে। ফলে তারা যে পরিমাণ মন্দ ও বিশৃঙ্খল অবস্থায় ছিল,তার চেয়ে বহু বহু গুণে মন্দের মধ্যে পড়ে যায় শুধুমাত্র রাষ্ট্রের আনুগত্য হতে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে।"

কথাগুলো ইবনুল কাইয়্যিম জাওযিয়া রাহিমাহুল্লার।

আজকের প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটা খবরের কিছু অংশ কপি-পেস্ট করি।

"মিসরের চলমান সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে এবং দেশটির ভবিষ্যৎ মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এ ধারণা সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষেরই। আর তাদের এই ধারণা অনেকটাই ঠিক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করছেন, কায়রোর রাজপথসহ মিসরজুড়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার জের টানতে হবে দেশটির পরবর্তী প্রজন্মকেও। আরব বসন্তের তোড়ে মাত্র ২০১১ সালেই প্রায় তিন দশকের স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতন হলে জনগণের মধ্যে আনন্দের ঢেউ বয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা সুদূর-অতীতের গল্প বলে মনে হচ্ছে। এখন দেশটিতে ‘শুধু জয়ীরাই সব কিছু পাবে’—এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিবিসি।"

এই খবরটার সাথে ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহর বলা কথাগুলো মিলিয়ে দেখুন তো,কে সঠিক?

আবেগের তোড়ে ভেসে যাওয়া,স্বল্পজ্ঞান সম্পন্ন কিছু আধুনিক "স্কলার",না ইসলামী জ্ঞানে সমৃদ্ধ সালাফগণ?

Monday, August 12, 2013

দিন ও রাত এবং আমাদের জীবন - ইয়াসমিন মোজাহেদ

আল্লাহ দিন ও রাত তৈরি করেছেন।

আপনার জীবন যদি বর্তমানে রাতের মত ঘুটঘুটে আঁধারে ঢাকা থাকে,ধৈর্য ধরুন। কারণ,রাত শেষ হলে প্রত্যেক ভোরেই সূর্য উঠে।

আর যদি বর্তমানে আপনার জীবন দিনের আলোর মত উজ্জ্বল হয়,তাহলে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হোন। আর খুশিতে উন্মত হওয়ার আগে ভেবে নিন,সূর্য কিন্ত প্রতি সন্ধ্যাতেই ডুবে যায়!

আর সর্বোপরি,দিন ও রাতের আবর্তনের মত এ জীবনের জন্য,প্রতি মুহূর্তে,তাঁর প্রশংসা করুন।

আর জেনে রাখুন,সব জিনিসের শেষ থাকলেও,তাঁর কিন্ত শেষ নেই! তিনি অনাদি,অনন্ত।

- ইয়াসমিন মোজাহেদ।

Courtesy : পড়ন্ত বিকেল

Thursday, August 8, 2013

ঈদ মোবারক

ঘটনা-১ :

সকাল সাড়ে নয়টায় ঘুম থেকে উঠলাম। ওঠার সাথে সাথে শুনতে পেলাম মসজিদের মাইক থেকে announce করা হচ্ছে,

"একটি শোক সংবাদ। অমুকের পিতা অমুক ইন্তেকাল করিয়াছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বাদ যোহর তাঁর নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হইবে।"

ঘটনা-২ :

মসজিদ থেকে আসর পরে আসলাম। জামাকাপড় change করে একটু বিছানায় বসার সাথে সাথে কর্ণকুহরে প্রবেশ করল,

"কাভি তো পাস মেরে আও.................."

এবং কর্ণকুহরে একের পর এক গান প্রবেশ করাতে বাধ্য হচ্ছি।

২৯শে রমাযান,১৪৩৪ হিজরীতে ঘটে যাওয়া ছোট্ট দুটি ঘটনা।

এ বছর ৩০টি রোজা পাওয়ার সৌভাগ্য আমাদের হল না। আজ পহেলা শাওয়াল,১৪৩৪ হিজরী। আগামীকাল পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর,আমাদের সবার খুশির ঈদ।

রমাযান আমাদের দেওয়া হয়েছিল,যেন আমরা তাক্বওয়া অর্জন করতে পারি।

তাক্বওয়া অর্জন কতটুকু হয়েছে তা নিয়ে আমাদের কোন ভ্রুক্ষেপ না থাকলেও,কত "আনন্দ" করে ঈদ উদযাপন করা যায়,তা নিয়ে মাশাআল্লাহ আমাদের চিন্তার অন্ত নেই,তা যতই ইসলামের সকল বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে হোক না কেন।

অথচ,যিনি আমাদের এখনও বাঁচিয়ে রেখেছেন,ঠিক আজ সকালে যেমন একজন মৃত্যুবরণ করলেন,তাঁর মত মৃত্যুবরণ করার আদেশ দেন নি,তাঁকে সন্তষ্ট করার কোন মাথাব্যথা আমাদের নেই।

অথচ,রমাযান দেওয়াই হয়েছিল,তাঁকে সন্তষ্ট করে কীভাবে জীবনযাপন করা যায়,তাঁর একটা reminder plus training হিসেবে।

যাই হোক,সবার প্রতি দুটো অনুরোধ থাকবে।

১) এই রমাযানে হয়তো কেউ কেউ সামান্য হলেও নতুন করে কোন ভাল কাজ করতে শুরু করেছি। কেউ পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়তাম না,রমাযানে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়তে শুরু করেছি। কেউ সিগারেট খেতাম,সিগারেট খাওয়া ছেড়েছি।

রমাযানকে সত্যি সত্যি আমরা utilize করতে পেরেছি,তার একটা বড় নিদর্শন হল,যে কাজগুলো রমাযানে করতে শুরু করেছিলাম,ঠিক সেই কাজগুলো রমাযানের পরেও করে যাওয়া।

আমরা যেন রমাযানে শুরু করা কাজগুলো আমাদের সারা জীবনে চালিয়ে নিয়ে যেওয়ার সংকল্প করি,আর ঐ কাজগুলোর সাথে সাথে অল্প করে হলেও,ইসলামের বিধানগুলো এক এক করে পালন করা শুরু করার দৃঢ় সংকল্প হাতে নিই।

২) হয়তো আমরা অনেকেই এই রমাযানকে ঠিকমত utilize না করতে পেরে হতাশ হয়ে পরি,মনে করি,আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা পাওয়ার অযোগ্য হয়ে পরেছি।

ভাই/আপু,

আল্লাহর ক্ষমার বিস্তৃতি যে কত বড়,তা আমাদের ধারণারও বাইরে।

আল্লাহর ক্ষমা নিয়ে একটা আলাদা নোট লিখেছিলাম,সেটা আর এখানে আলোচনা করতে চাই না। নোটটা বরং এখান থেকে পড়ে আসুন।

শুধু এটুকুই বলি,হতাশ না হয়ে,দৃঢ় মানসিকতা নিয়ে তাওবা করলে,পরবর্তীতে ঐ পাপ আর না করার দৃঢ় সংকল্প থাকলে,ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আমাদের তাওবা কবুল করবেন।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ ও জ্ঞান লাভের তাওফীক দান করুন,24/7 ইসলামের পথে থাকার তাওফীক দান করুন,তাঁকে সন্তষ্ট করে এ ইহলৌকিক জীবন নামক যাত্রা সম্পন্ন করার তাওফীক দান করুন।

আমীন।

সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।

সংশোধনী

গতকাল রাতে একটা "রমাযানের হালখাতা" নামে একটা লেখা লিখেছিলাম। সেখানে প্রথমেই বলেছিলাম যে জান্নাতের দরজাগুলো খোলা এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ আছে।

এই অংশটুকু নিয়েছিলাম নোমান আলী খানের একটি লেকচার থেকে,যেখানে তিনি সূরা সা-দের ৪৯ এবং ৫০ আয়াত আর সূরা আয-যুমারের ৭১ এবং ৭৩ আয়াত উল্লেখ করে এই ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেছেন।

পরবর্তীতে জানতে পারলাম,আসলে তাঁর করা এই তাফসীর কোন renowned তাফসীর গ্রন্থে নেই।

সেই কারণেই সেই লেখাটি আমার ব্লগ এবং ফেসবুক পোস্ট থেকে ডিলিট করে দিয়েছি।

আল্লাহর কাছে প্রার্থনা,তিনি যেন আমার এই অনিচ্ছাকৃত ভুল মাফ করেন,এবং প্রকৃত সালাফী স্কলার বাদে অন্য কারো তাফসীর পরবর্তীতে গ্রহণ না করার তাওফীক দেন,আমীন।

Sunday, August 4, 2013

পুরুষের দায়ভার

আজ মাগরিবের নামাযে আমাদের আহলে হাদীস মসজিদের একজন নিয়মিত মুসল্লি,তাঁর মেয়েকে নিয়ে নামায পড়তে এসেছিলেন।

বাচ্চাকাচ্চাদের বয়স আন্দাজে আমি বরাবরই গাধা টাইপ (অন্য যে কোন কাজকর্মের মতই),আর মেয়েবাচ্চা হলে তো কথাই নাই! তারপরও,আন্দাজে,মেয়েটার বয়স,দুই-আড়াই বছর হবে।

স্বভাবতই,এই বয়সী কোন বাচ্চার জামাতকে follow করার কথা না,সেও করছিল না।

কিন্ত নিজের মনমত রুকু,সিজদাহ,জালসা-এ ইস্তিরাহাহ করছিল,আর শেষ বৈঠকও করল!

বাচ্চাটার এই সব কাজকর্ম দেখে,একটা কথা মনে হল।

প্রায় সময়ই,আমরা পুরুষেরা নারীদের accuse করি,তাঁরা ঠিকমত নামায পড়েন না,কুরআন-হাদীস পড়লেও মানতে চান না,হিজাব পরলেও তা শুধু পরার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে,ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।

একটা জিনিস কি আমরা খেয়াল করি?

আমরা ছেলেরা,at least,সপ্তাহে এক দিন হলেও (and of course I'm meaning Friday Jummah) মসজিদে যাই (অথবা যেতে বাধ্য হই,মা-বাবার চাপে)। যার ফলে,নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও,ইমাম সাহেবের খুতবার কয়েকটা শব্দ কানে কিন্ত ঠিকই ঢোকে।

আর অনেকেই ছেলেবাচ্চাদের শুক্রবারে মসজিদে নিয়ে যান,আর বাচ্চাদের স্বভাব অনুযায়ী,ওরা আমাদের অনুকরণ করতে থাকে। ফলে ভিতরে ভিতরে,নামায পড়ার একটা তাগিদ কিন্ত তৈরি হয়ে যায়।

এই সুযোগটা কিন্ত মেয়েদের জন্যও ইসলামে দেওয়া আছে। এমন কী,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্পষ্ট হাদীস আছে,মেয়েদের মসজিদে যেতে বাধা না দিতে (অবশ্যই কিছু শর্ত যদি তাঁরা লঙ্ঘন না করেন)।

তাহলে,এই সুযোগটা সরিয়ে নিয়ে,তাঁদের এই কাজকর্মের দায়ভার কি কিছুটা আমাদের উপরও পরছে না?