Friday, September 6, 2013

শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানী রাহিমাহুল্লাহর তেরশ' বছর আগের একজন "দরবারী আলেম"

আসুন শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানী রাহিমাহুল্লাহর তেরশ' বছর আগের একজন "দরবারী আলেম" সম্পর্কে জেনে নিই।

ইবন সা'দ রাহিমাহুল্লাহ বর্ণনা করেন,একদল মুসলিম আল-হাজ্জাজের (সে সময়ের স্বৈরশাসক) বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার ব্যাপারে ফতোয়া জানার জন্য হাসান আল-বাসরী রাহিমাহুল্লাহর কাছে আসেন। তারা বলেন,"হে আবু সাঈদ (হাসান আল-বাসরীর ডাকনাম),একজন শাসক অন্যায়ভাবে রক্ত প্রবাহিত করে,অন্যায়ভাবে সম্পদ ভক্ষণ করে,সাথে আরো অনেক কিছু করে। তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার ব্যাপারে আপনি কী মনে করেন?"

হাসান রাহিমাহুল্লাহ উত্তর দেন,

"আমি মনে করি তা উচিত হবে না। কারণ,

☛ যদি (এই শাসকের কর্মকাণ্ড) আল্লাহর পক্ষ থেকে (আমাদের কর্মকাণ্ডের ফলস্বরূপ) শাস্তি হয়ে থাকে,তাহলে তোমাদের তরবারি দিয়ে তোমরা তাকে (রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে) সরাতে পারবে না।

☛ আর যদি তা আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা হয়ে থাকে,তাহলে আল্লাহর বিচারের জন্য আমাদের ধৈর্য ধরা উচিত। কারণ,তিনিই সর্বোত্তম বিচারক।"

কিন্ত সেই লোকেরা তাঁর সাথে একমত না হয়ে চলে গেল। পরবর্তীতে,তারা আল-হাজ্জাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল,যার ফলে আল-হাজ্জাজ তাদের প্রত্যেককে হত্যা করেন।

হাসান রাহিমাহুল্লাহ এ ঘটনার পর বলেন,

"যখন কোন জনপদ অত্যাচারী শাসকের দ্বারা পরীক্ষিত হয়,তখন যদি তারা ধৈর্য ধরে,শীঘ্রই আল্লাহ কোন বা কোনভাবে তাদের এই পরীক্ষা থেকে মুক্তির পথ করে দেন। কিন্ত আফসোস,তারা তরবারি হাতে তুলে নিতে এতই মরিয়া হয়ে ওঠে যে,আল্লাহ তাদেরকে তাদের তরবারির উপরেই ছেড়ে দেন। আল্লাহর শপথ,একটা দিনের জন্যও তারা (পূর্বের চেয়ে) কোন ভাল কিছু নিয়ে আসতে পারে না।"

[তাবাক্বাত আল-কুবরা,৭/১৬৩-১৬৫]

মূল পোস্টটি দেখুন এখানে

Courtesy : ফেসবুক পেজ IRF (Islamic Research Foundation).


No comments:

Post a Comment