কেনিয়ায় ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসবাদী হামলাটি নব্য-খারেজী সংগঠনগুলোর সত্যিকার ঘৃণ্য চরিত্রই আরো একটাবার ফুটিয়ে তুলেছে।
এই রক্তপাতের মাধ্যমে তারা আসলে কী পাবে বলে আশা করে? কোন প্রভু তাদেরকে এটা করতে আদেশ করেছেন? নিরীহ নিরস্ত্র মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করার এই পন্থা তারা কোন বইয়ে খুঁজে পেয়েছে? যখন তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মায়ের নাম জিজ্ঞাসা করে মানুষকে বিচার করছে,আর তাকেই মেরে ফেলছে যে তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মা) নাম জানে না,এর মাধ্যমে তারা কোন নবীর মর্যাদা রক্ষার চেষ্টা করছে?
তারা কি একটাবারও এটা বুঝতে চেষ্টা করেছে যে,তাদের প্রভু,তাদের ঐশীগ্রন্থ,আর তাদের নবী,প্রত্যেকে তাদের পাগলামি আর উন্মাদনা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ও পবিত্র?
যারা এই ঘটনার সাথে নানা পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তারা সম্পূর্ণরূপে বিষয়টা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। এটা সেই সাদা-কালো মানসিকতা যেটা এই রকম উন্মাদনাকে একদম প্রথমেই উসকিয়ে দেয়।
আমরা পশ্চিমা শাসকদের নানা অন্যায়-অবিচারের বিপক্ষে,কিন্ত মুসলিমদের এ রকম কার্যকলাপ কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কারণ মুসলিম হিসেবে,আমাদের প্রত্যেকের দ্বায়িত্ব ইসলাম সম্পর্কে ভালভাবে জানা,আর আমাদের কাজের মাধ্যমে আমাদের বিশ্বাসটাকে আশেপাশের লোকেদের সামনে তুলে ধরা।
এই জঙ্গিদের কার্যকলাপ থেকে আমাদের বিশ্বাস,আমাদের ধ্যানধারণা,আমাদের ইসলাম,সম্পূর্ণরূপে মুক্ত ও পবিত্র।
- শায়খ ইয়াসির কাযী।
[যদিও শায়খ তাঁর লেখায় উল্লেখ করেন নি,কিন্ত এরই সাথে,সম্প্রতি পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় গির্জায় ভয়াবহ হামলার কথাটাও এখানে উল্লেখ করতে চাই।
হ্যাঁ,এই মানুষদের বেশিরভাগই অমুসলিম,কিন্ত কুরআনের কোন আয়াতে বা কোন হাদীসে লেখা আছে যে যে অমুসলিমেরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে কোন চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত নেই,অমুসলিম শাসক গোষ্ঠীর চক্রান্তের প্রতিশোধ নিতে তাদের ধরে ধরে মেরে ফেলতে?
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে গেছেন,“যদি কোন ব্যক্তি কোন মু’আহিদ (অমুসলিম)-কে হত্যা করে তবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবেনা। যদিও চল্লিশ বছরের দূরত্ব থেকেই জান্নাতের ঘ্রাণ পাওয়া যায়।”
এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর সদস্যদের ঈমান নিয়ে এতটুকু প্রশ্ন তোলা যায় না। শুধু এটাই আফসোস হয়,এদের এই ঈমান ইসলামের কোন কাজে আসে না,বরং বিশ্বব্যাপী অমুসলিমদের মধ্যে ইসলামের প্রতি ঘৃণাই ছড়িয়ে দেয়।]
এই রক্তপাতের মাধ্যমে তারা আসলে কী পাবে বলে আশা করে? কোন প্রভু তাদেরকে এটা করতে আদেশ করেছেন? নিরীহ নিরস্ত্র মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করার এই পন্থা তারা কোন বইয়ে খুঁজে পেয়েছে? যখন তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মায়ের নাম জিজ্ঞাসা করে মানুষকে বিচার করছে,আর তাকেই মেরে ফেলছে যে তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মা) নাম জানে না,এর মাধ্যমে তারা কোন নবীর মর্যাদা রক্ষার চেষ্টা করছে?
তারা কি একটাবারও এটা বুঝতে চেষ্টা করেছে যে,তাদের প্রভু,তাদের ঐশীগ্রন্থ,আর তাদের নবী,প্রত্যেকে তাদের পাগলামি আর উন্মাদনা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ও পবিত্র?
যারা এই ঘটনার সাথে নানা পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তারা সম্পূর্ণরূপে বিষয়টা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। এটা সেই সাদা-কালো মানসিকতা যেটা এই রকম উন্মাদনাকে একদম প্রথমেই উসকিয়ে দেয়।
আমরা পশ্চিমা শাসকদের নানা অন্যায়-অবিচারের বিপক্ষে,কিন্ত মুসলিমদের এ রকম কার্যকলাপ কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কারণ মুসলিম হিসেবে,আমাদের প্রত্যেকের দ্বায়িত্ব ইসলাম সম্পর্কে ভালভাবে জানা,আর আমাদের কাজের মাধ্যমে আমাদের বিশ্বাসটাকে আশেপাশের লোকেদের সামনে তুলে ধরা।
এই জঙ্গিদের কার্যকলাপ থেকে আমাদের বিশ্বাস,আমাদের ধ্যানধারণা,আমাদের ইসলাম,সম্পূর্ণরূপে মুক্ত ও পবিত্র।
- শায়খ ইয়াসির কাযী।
[যদিও শায়খ তাঁর লেখায় উল্লেখ করেন নি,কিন্ত এরই সাথে,সম্প্রতি পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় গির্জায় ভয়াবহ হামলার কথাটাও এখানে উল্লেখ করতে চাই।
হ্যাঁ,এই মানুষদের বেশিরভাগই অমুসলিম,কিন্ত কুরআনের কোন আয়াতে বা কোন হাদীসে লেখা আছে যে যে অমুসলিমেরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে কোন চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত নেই,অমুসলিম শাসক গোষ্ঠীর চক্রান্তের প্রতিশোধ নিতে তাদের ধরে ধরে মেরে ফেলতে?
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে গেছেন,“যদি কোন ব্যক্তি কোন মু’আহিদ (অমুসলিম)-কে হত্যা করে তবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবেনা। যদিও চল্লিশ বছরের দূরত্ব থেকেই জান্নাতের ঘ্রাণ পাওয়া যায়।”
এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর সদস্যদের ঈমান নিয়ে এতটুকু প্রশ্ন তোলা যায় না। শুধু এটাই আফসোস হয়,এদের এই ঈমান ইসলামের কোন কাজে আসে না,বরং বিশ্বব্যাপী অমুসলিমদের মধ্যে ইসলামের প্রতি ঘৃণাই ছড়িয়ে দেয়।]
No comments:
Post a Comment