Friday, November 1, 2013

কেন আল্লাহ জাহান্নামের ভয় দেখালেন?

কিছুদিন আগে, আমার একজন বন্ধুর সাথে আমার একটা বিষয়ে মনোমালিন্য হয়। যার ফলে, আমি তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেই। এমন কী, হোয়াটস অ্যাপ আর ভাইবারে, তার সাথে যে যে গ্রুপে ছিলাম, রাগের মাথায় সেই সব গ্রুপ থেকেও নিজেকে রিমুভ করে দেই!

প্রায় ১৭-১৮ দিন পর,ফেসবুকে হঠাৎ এই হাদীসটা চোখে পড়ে,

হযরত আবু হোরাইয়া (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, কোন মুসলমানের জন্য তার কোন মুসলমান ভাইয়ের সাথে তিন দিনের অধিক সর্ম্পক ছিন্ন করে থাকা জায়েয নয়। যে ব্যক্তি তিন দিনের অধিক বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকল এবং মারা গেল সে দোযখে যাবে। (আবু দাঊদ) - See more at: http://muminun.net/bengali/hadith/index.php?cID=448#sthash.hfsbUe0X.dpuf
হযরত আবু হোরাইয়া (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, কোন মুসলমানের জন্য তার কোন মুসলমান ভাইয়ের সাথে তিন দিনের অধিক সর্ম্পক ছিন্ন করে থাকা জায়েয নয়। যে ব্যক্তি তিন দিনের অধিক বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকল এবং মারা গেল সে দোযখে যাবে। (আবু দাঊদ) - See more at: http://muminun.net/bengali/hadith/index.php?cID=448#sthash.hfsbUe0X.dpuf
"কোন মুসলমানের জন্য তার কোন মুসলমান ভাইয়ের সাথে তিন দিনের অধিক সম্পর্ক ছিন্ন করে রাখা বৈধ নয়। যে ব্যক্তি তিন দিনের অধিক বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকল এবং মারা গেল, সে জাহান্নামে যাবে।"

আল্লাহর অসীম রহমতে, এই হাদীসটা পড়েই আমার মাথায় যেন বাজ পড়ল!

আমার ঐ বন্ধুর সাথে আমি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে রেখেছি প্রায় ১৭-১৮ দিন হয়ে গেল! আল্লাহর দয়ায় এখনো বেঁচে আছি বলে রক্ষা, অথচ এর মধ্যেই যদি মারা যেতাম, আমার স্থান হত জাহান্নাম!!!

তাড়াতাড়ি করে "মান-অভিমান চুলায় যাক", এই বলে আমার বন্ধুর ওয়ালে গিয়ে সালাম দিয়ে আসলাম।

আলহামদুলিল্লাহ, সেও সালামের উত্তর দিল, আর দুজনে মিলে আমার সেই আগের মত হয়ে গেলাম, যেন আমাদের মধ্যে কোনদিন কোন মনোমালিন্য হয়ই নাই!

নাস্তিকদের একটা খুব প্রিয় কথন যেটা,

"আল্লাহ খালি জাহান্নামের ভয় দেখান। এটা করলে জাহান্নাম, ওটা করলে জাহান্নাম, সেটা করলে জাহান্নাম! এত ভয় নিয়ে বেঁচে থাকা যায়?"

আর

"আমি কেন আল্লাহর ভয়ে, জাহান্নামের ভয়ে খারাপ কাজ বাদ দেব? কেন, আমাদের কি বিবেক নেই?"

অবশ্যই আমাদের বিবেক আছে, সেই বিবেকের কাছে দায়বদ্ধতাও আছে।

কিন্ত সাথে আর একটা জিনিসও আছে, নিজের মন্দ কাজের জন্য যুক্তি, তথা অজুহাত।

শুধু মাত্র একটা উদাহরণ দেই।

নিয়মিত ব্যভিচারে যারা অভ্যস্ত, তারা কিন্ত খুব সহজ একটা যুক্তি দিতে পারেন।

"আরে, আমাদের একে অন্যকে পছন্দ, কিন্ত সমাজ আমাদের এক হতে দেবে না। এখন কী করব? আমরা তো কেউ কাউকে কোন জোর খাটাচ্ছি না, নিজের পছন্দে একে অন্যের সাথে একান্ত সময় কাটাচ্ছি, তাতে কার কী সমস্যা হয়?"

যুক্তিটা কিন্ত সত্যিই অসাধারণ, কিন্ত এই কাজটার consequence কিন্ত আমাদের সবারই জানা।

যাদের কাছে (including so many muslims) এই যুক্তিটা ভাল যুক্তি মনে হয়, তাঁদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীস অনুযায়ী একটা অনুরোধ করব।

চোখ বন্ধ করে একটু কল্পনা করুন তো, আপনার মা আপনার বাবাকে বাদ দিয়ে অন্য কোন পুরুষের সাথে একান্ত সময় কাটাচ্ছেন......

সত্যিই যদি বিবেক বলে আপনার কিছু থাকে, এরপর থেকে ব্যভিচারের প্রতি আপনার প্রবল ঘৃণা জন্মানোর কথা।

যাক সে কথা।

সোজা বাংলায়, শুধুমাত্র একটা কারণেই আল্লাহ আমাদের জাহান্নাম নিয়ে এত ভয় দেখিয়েছেন, কারণ আমাদের সৃষ্টিকর্তা হিসেবে তিনি জানেন, যুক্তি (actually কুযুক্তি) নামক নানা রকম অজুহাত খাড়া করে নিজেদের যত মন্দ কাজ আছে, তার সব কিছু জাস্টিফাই করা আমাদের কাছে বাঁ হাতের খেল।

তাই তিনি সে সব কাজের ক্ষেত্রে জাহান্নামের ভয় দেখিয়েছেন, যে সব কাজগুলো সত্যিকার অর্থেই খারাপ কাজ, মন্দ কাজ, সমাজ ব্যবস্থাকে লন্ডভন্ড করে ফেলতে পারে যা, সেগুলো মানুষ যেন করার আগে তিন-চার বার চিন্তা করে, এটা ভাবে যে, "আল্লাহ তো দেখছেনই, সাথে দুই কাঁধের ফেরেশতা তো সব নোট করে রাখছেন, এইখানে কুকাজটা করে না হয় কোনভাবে ফাঁকিঝুঁকি দিয়ে বেরিয়ে যাব, কিন্ত আল্লাহকে ফাঁকি দেব কীভাবে? আর আল্লাহ মাফ না করলে তো সোজা জাহান্নাম!"

আল্লাহর ইবাদত করি বা না করি, আল্লাহর তাতে বিন্দুমাত্র কিছু যায় আসে না।

কিন্ত তাঁর ইবাদত করলে, অক্ষরে অক্ষরে মেনে চললে, আমাদের সমাজের যে চরিত্র দাঁড়াবে, তার একটা ছোট্ট উদাহরণ দিতে পারি।

মক্কা-মদীনায় যখন ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হয়ে গেল, তখন একজন যুবতী ঘুটঘুটে রাতের বেলায় একা একা রাস্তায় চলতে পারতেন। না ছিল তার কাছে থাকা জিনিস চুরি বা ডাকাতি হবার ভয়, না ছিল ধর্ষিত হবার ভয়। শুধু একটাই ভয় ছিল, কোন বন্য জন্তু হঠাৎ করে আক্রমণ করে বসে না কী!

নারী স্বাধীনতার এই দৃষ্টান্ত কি বর্তমান সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা প্রচলিত সমাজের কোথাও দেখাতে পারবেন?
কোন মুসলমানের জন্য তার কোন মুসলমান ভাইয়ের সাথে তিন দিনের অধিক সর্ম্পক ছিন্ন করে থাকা জায়েয নয়। যে ব্যক্তি তিন দিনের অধিক বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকল এবং মারা গেল সে দোযখে যাবে। - See more at: http://muminun.net/bengali/hadith/index.php?cID=448#sthash.hfsbUe0X.dpuf
হযরত আবু হোরাইয়া (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, কোন মুসলমানের জন্য তার কোন মুসলমান ভাইয়ের সাথে তিন দিনের অধিক সর্ম্পক ছিন্ন করে থাকা জায়েয নয়। যে ব্যক্তি তিন দিনের অধিক বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকল এবং মারা গেল সে দোযখে যাবে। (আবু দাঊদ) - See more at: http://muminun.net/bengali/hadith/index.php?cID=448#sthash.hfsbUe0X.dpuf
হযরত আবু হোরাইয়া (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, কোন মুসলমানের জন্য তার কোন মুসলমান ভাইয়ের সাথে তিন দিনের অধিক সর্ম্পক ছিন্ন করে থাকা জায়েয নয়। যে ব্যক্তি তিন দিনের অধিক বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকল এবং মারা গেল সে দোযখে যাবে। (আবু দাঊদ) - See more at: http://muminun.net/bengali/hadith/index.php?cID=448#sthash.hfsbUe0X.dpuf
হযরত আবু হোরাইয়া (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, কোন মুসলমানের জন্য তার কোন মুসলমান ভাইয়ের সাথে তিন দিনের অধিক সর্ম্পক ছিন্ন করে থাকা জায়েয নয়। যে ব্যক্তি তিন দিনের অধিক বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকল এবং মারা গেল সে দোযখে যাবে। (আবু দাঊদ) - See more at: http://muminun.net/bengali/hadith/index.php?cID=448#sthash.hfsbUe0X.dpuf

No comments:

Post a Comment