Monday, November 11, 2013

আশুরা বিষয়ক কিছু তথ্য

ইনশাআল্লাহ আগামী শুক্রবার বাংলাদেশে আশুরা। খুব সংক্ষেপে আশুরা বিষয়ক কয়েকটা কথা উল্লেখ করলাম।

☛ ১০ মুহাররম ইসলামের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক দিন। আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে যে কথাটা বলতে হয়, এই দিনেই কারবালা প্রান্তরে ইমাম হুসাইন রাযিআল্লাহু আনহু শহীদ হন।

☛ আমাদের দেশে ইমাম হুসাইন রাযিআল্লাহু আনহুর হত্যাকারী হিসেবে ইয়াজিদকে দায়ী করা হয়। কিন্ত প্রকৃত ইতিহাস হল, ইয়াজিদ এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত নন। প্রকৃতপক্ষে এ সব বানোয়াট ঘটনা শিয়াদের ছড়ানো কাহিনী।

☛ এ ছাড়া কারবালা প্রান্তরে পাথর উল্টালে রক্ত বের হওয়া, সূর্যগ্রহণ, আকাশের দিগন্ত লাল হওয়া, আকাশ থেকে পাথর পড়া ইত্যাদিও সত্য না।

☛ এ দিন এবং তার আগের দিন রোজা রাখা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নত। কিন্ত এই আমলের সাথে কারবালার ঘটনার কোনই সম্পর্ক নাই।

☛ প্রকৃতপক্ষে, এই দিনে আল্লাহ মুসা আলাইহিস সালামকে বনী ইসরাইল সহ ফিরআউনের কবল থেকে রক্ষা করেন। তাই ইহুদীরা এ দিনে রোজা রাখত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনায় গিয়ে যখন তাদের এ আমল করতে দেখেন, তখন তিনিও এই দিনে রোজা রাখার ঘোষণা দেন। যেহেতু ইসলামের অন্যতম একটি মূলনীতি হল, কাফের-মুশরিকদের বৈপরীত্য করা, তাই তিনি তাঁর মৃত্যুর আগের বছরে পরবর্তী বছর আশুরার দিনের সাথে তার আগের দিন, অর্থ্যাৎ ৯ মুহাররম রোজা রাখার সংকল্প করেছিলেন। কিন্ত তার আশুরা আসার আগেই পরের বছর তিনি মারা যান।

☛ আশুরার দিনের রোজা এক বছরের করা গুনাহর কাফফারা, অতএব এর গুরুত্ব বলাই বাহুল্য। আর এর আগের দিন অথবা পরের দিন রোজা রাখা উত্তম। কিন্ত কেউ যদি শুধুমাত্র আশুরার দিনই রোজা রাখেন, সেটাও গ্রহণযোগ্য।

খুব সংক্ষেপে কোন রেফারেন্স ছাড়া কথাগুলো উল্লেখ করলাম। বিস্তারিত জানতে নিচের লেখাগুলো পড়তে অনুরোধ করছি।

১) শরীফ আবু হায়াত অপু ভাইয়ের লেখা "কারবালার কাহিনী"।

২) শুধুমাত্র আশুরার দিনে রোজা রাখা বিষয়ক IslamQA.com এর ফতোয়া

No comments:

Post a Comment