ধরুন আপনি কলা কিনতে গেছেন।
আপনি (দোকানদারকে) : ভাই, এটা কোথাকার কলা?
দোকানদারঃ আরে ভাই, কলা তো কলাই। কোথাকার কলা এইটা দিয়া কী করবেন?
আপনিঃ এমনি জানতে চাচ্ছি। বলেন না কোথাকার কলা?
দোকানদারঃ আরে না না, কলা হইল কলা। আপনি নিবেন কলা, ভাল কইরা বাইছা লন, সমস্যা নাই। কিন্ত এইটা কয়া যাইব না কোন জায়গার কলা!
ধরে নিলাম, আপনি খুবই ধৈর্যশীল একজন মানুষ, এবং খুবই শান্ত একজনও। হয়ত আপনি সেই দোকানদারের কাছ থেকে কলা কিনবেনও। কিন্ত, বেশ বিরক্ত হবেন আপনি, এ কথাটুকু কিন্ত বলাই যায়।
ঠিক এই exact feeling-টা আমার হয়, যখন আমি শুনি,
☛ "ভাই, নিজেকে সালাফী/আহলে হাদীস বলেন কেন? আমরা তো মুসলিম।"
☛ "ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম আমাদের নাম রেখেছেন মুসলিম। আপনি কেন বলেন আপনি সালাফী/আহলে হাদীস?"
☛ "আল্লাহ বলেছেন আমাদের মুসলিম হয়ে মরতে। আপনি কেন সালাফী/আহলে হাদীস হয়ে মরার কথা বলেন?"
ভাই, শোনেন,
কোন সালাফী/আহলে হাদীস কবে বলেছেন যে, "আমরা মুসলিম না?"
সালাফী/আহলে হাদীস হল মুসলিম হিসেবে আমাদের বৈশিষ্ট্য। যেমন চাঁপাইনবাবগঞ্জের কলার বৈশিষ্ট্যই হল এই কলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে উৎপাদিত।
এখন চাঁপাইনবাবগঞ্জে কলাগুলোকে "চাঁপাইনবাবগঞ্জের কলা" বললে কি ওগুলো কলা থাকে না?
ঠিক তেমনি, সালাফী/আহলে হাদীস পরিচয় দিলে কি কেউ "মুসলিম" থাকে না???
শিয়ারা কাফের, কাদিয়ানীরা কাফের, আহমদিয়ারাও কাফের। কিন্ত কোন শিয়া বা কাদিয়ানী বা আহমদিয়াকে ডেকে আপনি বলতে পারবেন না, "এই ভাই শোনেন, আপনি কিন্ত কাফের!" এতটা অধিকার আমার আপনার মত ম্যাংগো পিপলের নাই!
তো এখন, আমরাও বলি, "আমি মুসলিম", শিয়া কাদিয়ানী আহমদিয়ারা বলে, "আমি মুসলিম"। তাহলে পার্থক্য করা যাবে কীভাবে?
ঠিক এই জন্যই "সালাফী বা আহলে হাদীস" কথাটার উদ্ভাবন।
সালাফী মানে সলফে সালেহীনদের অনুসারী। আহলে হাদীস, যদিও generally বোঝায় হাদীসের অনুসারী, কিন্ত ব্যাপক অর্থে সহীহ হাদীসের অনুসারী।
আর এটাই ছিল আমাদের প্রতি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশ। আল্লাহর কিতাব, তথা কুরআনের অনুসরণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ, বা হাদীসের অনুসরণ, আর তাঁর পরবর্তী তিন যুগ, অর্থ্যাৎ সাহাবী, তাবেয়ী এবং তাবে-তাবেয়ী, অর্থ্যাৎ সালাফদের অনুসরণ।
অতএব, যে মুসলিম এগুলো অনুসরণ করেন, মাঝখানের নানা বিভ্রান্তি, বিভিন্ন "রায়" থেকে দূরে থাকেন, তিনিই সালাফী/আহলে হাদীস।
কিন্ত তার মানে এই না যে মুসলিম পরিচয়টাকে খাটো করে দেখা হচ্ছে।
"চাঁপাইনবাবগঞ্জের কলা"-কে "চাঁপাইনবাবগঞ্জের কলা" বলে ডাকলে at the end, যেমন সেগুলো কলাই থাকে, আপেল বা আঙ্গুর হয়ে যায় না;
তেমনিভাবে যিনি নিজেকে "সালাফী/আহলে হাদীস" বলে পরিচয় দেন, তিনি মুসলিমই থাকেন, নিজেকে সহীহ ইসলামের অনুসারী হিসেবে বুঝিয়ে থাকেন, "দ্বীন-ই-ইলাহী"-র মত কোন নতুন ধর্মের অনুসারী হিসেবে নিজেকে দাবি করেন না!
[In essence, যেহেতু কুরআন বা হাদীসের ব্যাখ্যা বুঝতে শেষমেশ সালাফদেরই দ্বারস্থ হই, তাই নিজেকে "সালাফী" বলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কিন্ত তার মানে আবার এই না যে, "আহলে হাদীস" বলা যাবে না। যিনি সালাফী, তিনিই আহলে হাদীস। এরপর ব্যক্তিগত অভিমত।]
আশা করি বুঝিয়ে বলতে পারলাম।
আপনি (দোকানদারকে) : ভাই, এটা কোথাকার কলা?
দোকানদারঃ আরে ভাই, কলা তো কলাই। কোথাকার কলা এইটা দিয়া কী করবেন?
আপনিঃ এমনি জানতে চাচ্ছি। বলেন না কোথাকার কলা?
দোকানদারঃ আরে না না, কলা হইল কলা। আপনি নিবেন কলা, ভাল কইরা বাইছা লন, সমস্যা নাই। কিন্ত এইটা কয়া যাইব না কোন জায়গার কলা!
ধরে নিলাম, আপনি খুবই ধৈর্যশীল একজন মানুষ, এবং খুবই শান্ত একজনও। হয়ত আপনি সেই দোকানদারের কাছ থেকে কলা কিনবেনও। কিন্ত, বেশ বিরক্ত হবেন আপনি, এ কথাটুকু কিন্ত বলাই যায়।
ঠিক এই exact feeling-টা আমার হয়, যখন আমি শুনি,
☛ "ভাই, নিজেকে সালাফী/আহলে হাদীস বলেন কেন? আমরা তো মুসলিম।"
☛ "ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম আমাদের নাম রেখেছেন মুসলিম। আপনি কেন বলেন আপনি সালাফী/আহলে হাদীস?"
☛ "আল্লাহ বলেছেন আমাদের মুসলিম হয়ে মরতে। আপনি কেন সালাফী/আহলে হাদীস হয়ে মরার কথা বলেন?"
ভাই, শোনেন,
কোন সালাফী/আহলে হাদীস কবে বলেছেন যে, "আমরা মুসলিম না?"
সালাফী/আহলে হাদীস হল মুসলিম হিসেবে আমাদের বৈশিষ্ট্য। যেমন চাঁপাইনবাবগঞ্জের কলার বৈশিষ্ট্যই হল এই কলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে উৎপাদিত।
এখন চাঁপাইনবাবগঞ্জে কলাগুলোকে "চাঁপাইনবাবগঞ্জের কলা" বললে কি ওগুলো কলা থাকে না?
ঠিক তেমনি, সালাফী/আহলে হাদীস পরিচয় দিলে কি কেউ "মুসলিম" থাকে না???
শিয়ারা কাফের, কাদিয়ানীরা কাফের, আহমদিয়ারাও কাফের। কিন্ত কোন শিয়া বা কাদিয়ানী বা আহমদিয়াকে ডেকে আপনি বলতে পারবেন না, "এই ভাই শোনেন, আপনি কিন্ত কাফের!" এতটা অধিকার আমার আপনার মত ম্যাংগো পিপলের নাই!
তো এখন, আমরাও বলি, "আমি মুসলিম", শিয়া কাদিয়ানী আহমদিয়ারা বলে, "আমি মুসলিম"। তাহলে পার্থক্য করা যাবে কীভাবে?
ঠিক এই জন্যই "সালাফী বা আহলে হাদীস" কথাটার উদ্ভাবন।
সালাফী মানে সলফে সালেহীনদের অনুসারী। আহলে হাদীস, যদিও generally বোঝায় হাদীসের অনুসারী, কিন্ত ব্যাপক অর্থে সহীহ হাদীসের অনুসারী।
আর এটাই ছিল আমাদের প্রতি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশ। আল্লাহর কিতাব, তথা কুরআনের অনুসরণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ, বা হাদীসের অনুসরণ, আর তাঁর পরবর্তী তিন যুগ, অর্থ্যাৎ সাহাবী, তাবেয়ী এবং তাবে-তাবেয়ী, অর্থ্যাৎ সালাফদের অনুসরণ।
অতএব, যে মুসলিম এগুলো অনুসরণ করেন, মাঝখানের নানা বিভ্রান্তি, বিভিন্ন "রায়" থেকে দূরে থাকেন, তিনিই সালাফী/আহলে হাদীস।
কিন্ত তার মানে এই না যে মুসলিম পরিচয়টাকে খাটো করে দেখা হচ্ছে।
"চাঁপাইনবাবগঞ্জের কলা"-কে "চাঁপাইনবাবগঞ্জের কলা" বলে ডাকলে at the end, যেমন সেগুলো কলাই থাকে, আপেল বা আঙ্গুর হয়ে যায় না;
তেমনিভাবে যিনি নিজেকে "সালাফী/আহলে হাদীস" বলে পরিচয় দেন, তিনি মুসলিমই থাকেন, নিজেকে সহীহ ইসলামের অনুসারী হিসেবে বুঝিয়ে থাকেন, "দ্বীন-ই-ইলাহী"-র মত কোন নতুন ধর্মের অনুসারী হিসেবে নিজেকে দাবি করেন না!
[In essence, যেহেতু কুরআন বা হাদীসের ব্যাখ্যা বুঝতে শেষমেশ সালাফদেরই দ্বারস্থ হই, তাই নিজেকে "সালাফী" বলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কিন্ত তার মানে আবার এই না যে, "আহলে হাদীস" বলা যাবে না। যিনি সালাফী, তিনিই আহলে হাদীস। এরপর ব্যক্তিগত অভিমত।]
আশা করি বুঝিয়ে বলতে পারলাম।
No comments:
Post a Comment