ড. আহমাদ আল-হুলাইবি,তাঁর "উসুল আল-হুকুম আলাল-মুবতাদিয়াহ ইন্দা শাইখ আল-ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ (শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহর মতানুসারে বিদআতীদের বিচারের মূলনীতি)" নামক গ্রন্থে ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ কীভাবে বিদআতীদের বিচার করতেন,তা তুলে ধরেছেন।
সংক্ষেপে মূলনীতিগুলো হচ্ছে,
১) নিজস্ব ইজতিহাদে ভুলের কারণে কোন ধার্মিক ও পূণ্যবান ব্যক্তি যদি বিদআতে আপতিত হন,সেই ক্ষেত্রে তার জন্য অজুহাত বের করতে হবে। একই সাথে তাঁর ভুল ইজতিহাদের এমনভাবে সমালোচনা করতে হবে,যেন তাঁর মর্যাদাহানি না হয়।
২) আক্বীদাগত বা অন্য কোন বিষয়,মুজতাহিদ যে বিষয়েই কোন ভুল করে থাকুন না কেন,তার জন্য তাঁকে পাপী বলে মনে করা যাবে না। আর তাঁকে বিভ্রান্ত বা অবিশ্বাসী বলেও ঘোষণা দেওয়া যাবে না।
৩) বিদআতীকে বা তাঁর ইজতিহাদকে অব্যাহতি দেওয়ার চেষ্টা করার মানে এই নয় যে তাঁর বিদআতের সাথে একমত পোষণ করা,অথবা অন্য কাউকে সেই বিদআত অনুসরণ করার জন্য সম্মতি দেওয়া। বরং এটাই কর্তব্য যে,যথাযথ আদব অনুসরণ করে তাঁর বিদআতের বিরুদ্ধে কুরআন-হাদীসের স্বাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থিত করা।
৪) কেউ বিদআতে আপতিত হলেই এই রায় দেওয়া যাবে না যে তিনি "আহলুল আহওয়া ওয়াল বিদআ'"-র অন্তর্ভুক্ত। আর তাঁর প্রতি শত্রুতাও পোষণ করা যাবে না,যদি না সেই বিদআত আহলুস সুন্নাহ ওয়া আল-জামাআতের সম্মানিত আলেমগণের নিকট চরম মাত্রার বিদআত বলে পরিগণিত হয়।
৫) আক্বীদাগত বা অন্য কোন বিষয়,যে বিষয়েই কেউ যদি বিভ্রান্তিতে আপতিত হন,তার জন্য তাঁকে জাহান্নামী বলে ধরে নেওয়া যাবে না,যদি না তা সম্মানিত আলেমগণের নিকট চরম মাত্রার বিভ্রান্তি বলে পরিগণিত হয়। একইভাবে,কোন দল যদি সেই বিভ্রান্তিতে আপতিত হয়,তাহলেও সেই দলকে বিভ্রান্ত ৭২ দলের একটি বলে ধরে নেওয়া যাবে না।
৬) কোন কাজ,যার পরিণতি কুফরী বা ফিসক;এমন কোন কাজ করার ফলে কোন ব্যক্তিকে কাফির বা ফাসিক বলে গণ্য করার আগে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে,তাঁর বিরুদ্ধে "হুজ্জাহ" (পরিপূর্ণ প্রমাণ) না পাওয়া পর্যন্ত তাকে কাফির বা ফাসিক বলে রায় দেওয়া যাবে না।
৭) উম্মাহর মধ্যে ঐক্য স্থাপনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। আক্বীদাগত কম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিভেদের কারণে যেন উম্মাহর ভ্রাতৃত্বের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি না হয়,সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
৮) বিদআতীদের ভাল এবং মন্দ বর্ণনা করার সময় সুবিচার করা বাঞ্ছনীয়। তাদের মাঝে যা সত্য,তা গ্রহণ করতে হবে,আর যা মিথ্যা ও ভ্রান্ত,তা বর্জন করতে হবে।
Courtesy : শাইখ আবিদ।
সংক্ষেপে মূলনীতিগুলো হচ্ছে,
১) নিজস্ব ইজতিহাদে ভুলের কারণে কোন ধার্মিক ও পূণ্যবান ব্যক্তি যদি বিদআতে আপতিত হন,সেই ক্ষেত্রে তার জন্য অজুহাত বের করতে হবে। একই সাথে তাঁর ভুল ইজতিহাদের এমনভাবে সমালোচনা করতে হবে,যেন তাঁর মর্যাদাহানি না হয়।
২) আক্বীদাগত বা অন্য কোন বিষয়,মুজতাহিদ যে বিষয়েই কোন ভুল করে থাকুন না কেন,তার জন্য তাঁকে পাপী বলে মনে করা যাবে না। আর তাঁকে বিভ্রান্ত বা অবিশ্বাসী বলেও ঘোষণা দেওয়া যাবে না।
৩) বিদআতীকে বা তাঁর ইজতিহাদকে অব্যাহতি দেওয়ার চেষ্টা করার মানে এই নয় যে তাঁর বিদআতের সাথে একমত পোষণ করা,অথবা অন্য কাউকে সেই বিদআত অনুসরণ করার জন্য সম্মতি দেওয়া। বরং এটাই কর্তব্য যে,যথাযথ আদব অনুসরণ করে তাঁর বিদআতের বিরুদ্ধে কুরআন-হাদীসের স্বাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থিত করা।
৪) কেউ বিদআতে আপতিত হলেই এই রায় দেওয়া যাবে না যে তিনি "আহলুল আহওয়া ওয়াল বিদআ'"-র অন্তর্ভুক্ত। আর তাঁর প্রতি শত্রুতাও পোষণ করা যাবে না,যদি না সেই বিদআত আহলুস সুন্নাহ ওয়া আল-জামাআতের সম্মানিত আলেমগণের নিকট চরম মাত্রার বিদআত বলে পরিগণিত হয়।
৫) আক্বীদাগত বা অন্য কোন বিষয়,যে বিষয়েই কেউ যদি বিভ্রান্তিতে আপতিত হন,তার জন্য তাঁকে জাহান্নামী বলে ধরে নেওয়া যাবে না,যদি না তা সম্মানিত আলেমগণের নিকট চরম মাত্রার বিভ্রান্তি বলে পরিগণিত হয়। একইভাবে,কোন দল যদি সেই বিভ্রান্তিতে আপতিত হয়,তাহলেও সেই দলকে বিভ্রান্ত ৭২ দলের একটি বলে ধরে নেওয়া যাবে না।
৬) কোন কাজ,যার পরিণতি কুফরী বা ফিসক;এমন কোন কাজ করার ফলে কোন ব্যক্তিকে কাফির বা ফাসিক বলে গণ্য করার আগে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে,তাঁর বিরুদ্ধে "হুজ্জাহ" (পরিপূর্ণ প্রমাণ) না পাওয়া পর্যন্ত তাকে কাফির বা ফাসিক বলে রায় দেওয়া যাবে না।
৭) উম্মাহর মধ্যে ঐক্য স্থাপনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। আক্বীদাগত কম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিভেদের কারণে যেন উম্মাহর ভ্রাতৃত্বের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি না হয়,সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
৮) বিদআতীদের ভাল এবং মন্দ বর্ণনা করার সময় সুবিচার করা বাঞ্ছনীয়। তাদের মাঝে যা সত্য,তা গ্রহণ করতে হবে,আর যা মিথ্যা ও ভ্রান্ত,তা বর্জন করতে হবে।
Courtesy : শাইখ আবিদ।
No comments:
Post a Comment