Sunday, July 28, 2013

হতাশা ও আশা

রাস্তাঘাটে বের হলে তো মাথা সোজা রেখে চলা যায় না,মাথাটা নিচু রেখেই চলতে হয়। মাঝেমধ্যে হাঁপিয়ে গেলে একটু আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি। কিন্ত গত কিছুদিন মাথাটা উঁচু করে যা দেখি,তাতে এই কাজটা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম।

কী দেখি জানেন?

কোন একটা সোনার গহনার কোম্পানির ছোট ছোট বিলবোর্ড, যাতে একজন মডেল একটা লকেটের "বিজ্ঞাপন" করছেন।

তাঁর কাঁধ থেকে বুকের উপর পর্যন্ত,অনাবৃত।

যতবার এই বিলবোর্ডটা চোখে পরে,ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নিই,আর চিন্তা করি,এখানে আসল পণ্য কোনটা? লকেটটা,না কি লকেটের মডেল?

ইসলামিক হিজাবকে একপাশে সরিয়ে রেখেই বলি,আমাদের দেশে,"এখনও",মেয়েরা যে ধরণের অনুষ্ঠানে সোনার গহনা পরেন,তাতে তাঁরা normally  শাড়ি পরে থাকেন,এবং সেই শাড়ির কোন অংশে এই টাইপ কোন পোশাক থাকে না,যাতে কাঁধ থেকে বুকের উপরের অংশ অনাবৃত থাকে।

তাহলে,মডেলের উন্মুক্ত দেহাংশ দেখানোর মাধ্যমে কোম্পানির নামটা প্রচার করা ব্যতীত আর কোন যুক্তিতে এ রকম বিলবোর্ড বানানো হতে পারে,তা জানতে রোকেয়া প্রাচী  আর সুলতানা কামালের কাছে যাওয়া ব্যতীত আর কোন ভাল উপায় আপাতত খুঁজে পাচ্ছি না।

অফ টপিক :

আমার ইসলামপূর্ব জীবনে, আমার আম্মুর সাথে একটা বাজি ধরেছিলাম। 

বাজিটা ছিল যে,যদি আমার আম্মু, আমার জন্য এমন একজন বউ আনতে পারেন, যিনি এই যুগেও,বিয়ের আগে,কোন রিলেশনশিপে ছিলেন না,তাহলে "কবুল" বলার আগে আমি এক চামচ মাটি খাব!!!

এই চরম ফিতনার যুগেও, ফেসবুকে যখন ইসলাম নিয়ে সচেতন, সঠিকভাবে দ্বীন পালনে সচেষ্ট অনেক মুসলিমাহদের দেখি,তখন মনে হয়, most probably, মাটি খাওয়াটা কপালেই আছে!!!

সত্যি কথা বলতে,মাটি খেতে আসলেই উন্মুখ হয়ে আছি!!!!!


Wednesday, July 24, 2013

ইসলামকে একটা সুযোগ দিয়েই দেখুন না

আমার ইসলামপূর্ব জীবনের দুইটি ঘটনা বলি।
 
১) প্রচণ্ড গরম,মাথার উপর গনগনে সূর্য। রোদের তীব্রতা সহ্য করার বাইরে।

আমার ব্যাগে ছাতা আছে,খুব সহজেই বের করে ছাতাটা ফুটিয়ে এই রোদ থেকে বাঁচতে পারি। কিন্ত বের করছি না।

কারণ?

আরে,আমি একজন ইয়াং ম্যান,আমি হব কষ্টসহিষ্ণু। আমি যদি এভাবে মেয়েদের মত ছাতা ধরে থাকি,তাহলে লোকেরা কী বলবে? আর ভার্সিটির মেয়েদের সামনে আমার একটা প্রেস্টিজ আছে না!!!

অথচ,যাদের সামনে ভাব নেওয়া আমার উদ্দেশ্য ছিল,হয়ত তাদের ১০ জনের মধ্যে ৮ জনই আমাকে চিনতেন না।

ফাইনালি,এই ভাবের খেসারত আমাকেই দিতে হত,হয় জ্বর,নয় ঠাণ্ডা-কাশিতে ভোগার মধ্য দিয়ে।

২) আমার সামনে একজন কেউ কোন একটা কথা বলতেন,অথবা হয়ত এমন কোন মন্তব্য করতেন,যার সাথে আমি কোনভাবেই একমত হতাম না।

কিন্ত তারপরও,আমি তাঁকে কিছুই বলতাম না,চুপচাপ শুনে যেতাম,মাঝেমধ্যে হ্যাঁ-হুঁ করতাম।

পরে নিজের কাছে নিজের খারাপ লাগত,কারণ,আমি তো কথাটার সাথে কোনভাবেই একমত নই। কিন্ত ঐ মানুষটা তো ভেবে বসে আছেন,আমি তার সাথে ১০০% একমত!!!

ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে,আমি চাইতাম,"মানুষের" কাছে ভাল হওয়ার জন্য,স্মার্ট হওয়ার জন্য। কোন মানুষের কাছে আমি যেন খারাপ না হই,আনস্মার্ট না হই,হাসির পাত্র না হই,তা যতই আমার নিজস্ব সত্ত্বাকে লুকিয়ে হোক না কেন।

অর্থ্যাৎ,আমার মন আমি আমার মতই অন্য একদল মানুষের কাছে বন্ধক রেখে দিয়েছিলাম।

আলহামদুলিল্লাহ,ইসলামকে জানতে-বুঝতে শুরু করার পর,ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রাহিমাহুল্লাহর একটা বাণী,আমার পুরো চিন্তাধারা ১৮০ ডিগ্রি উলটে দিল।

"সারা দুনিয়ার মানুষ যদি তোমার উপর সন্তষ্ট থাকে,কিন্ত আল্লাহ তোমার উপর অসন্তষ্ট,তাহলে তুমি জীবনে আসলে কী পেলে? আর সারা দুনিয়ার মানুষ যদি তোমার উপর অসন্তষ্ট থাকে,কিন্ত আল্লাহ তোমার উপর সন্তষ্ট থাকেন,তুমি কীই বা হারালে?"

আসলেই তো। কী লাভ আমার আমার মতই আরেকজন মানুষের সন্তষ্টি পেয়ে? কী লাভ আমার,আমার মতই আরেকজন মানুষের প্রিয় মানুষ হয়ে,নিজের সত্ত্বাকে বিক্রি করে? তার আর আমার মধ্যে তো কোন পার্থক্য নেই। সেও আল্লাহর সৃষ্টি,আমিও আল্লাহর সৃষ্টি। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো বলেই গেছেন,অনারবের উপর আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই,কালোর উপর সাদারও শ্রেষ্ঠত্ব নেই। একটা জিনিসই শুধুমাত্র একজনের তুলনায় অন্যজনকে বড় করে তুলতে পারে,আর তা হল তাক্বওয়া,আল্লাহর ভয়।

আলহামদুলিল্লাহ,এখন আর ভাব মারার জন্য চড়া রোদের নিচে ছাতা ছাড়া বের হই না,পাঁচ মিনিটের দূরত্ব হলেও না। আর যদি কারো কোন কথা ভাল না লাগে,আমি একমত না হই,সাথে সাথে যথাসম্ভব ভদ্র ভাষাতেই প্রতিবাদ করি,বলি,"ভাই,আপনার সাথে একমত না।"

আমার নিজের যে একটা আলাদা সত্ত্বা আছে,ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে জীবনে ধারণ করে,তা পুরোপুরিভাবে বুঝতে পারছি,উপভোগ করতে পারছি।

আর এটার যে স্বাদ,এই স্বাদ শুধুমাত্র একটা ভাবেই পাওয়া যেতে পারে।

যিনি এই বিশ্বজগতের অধিপতি,সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা,তাঁর কাছে নিজের মনটাকে বন্ধক দিয়ে।

কারণ তিনিই এর একমাত্র যোগ্য।

"কুরআন আপনার গলার স্বরের একটা মাত্রা ঠিক করে দিয়ে বলে,'তোমার কণ্ঠস্বর উঁচু কর না।' আপনার চলার গতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে নির্দেশ দেয় এই বলে,'পদচারণায় মধ্যবর্তিতা অবলম্বন কর।' আপনার চোখের দৃষ্টিকে সংযত করে এই বলে,'(আমি এদের বিভিন্ন প্রকার লোককে পরীক্ষা করার জন্যে পার্থিবজীবনের সৌন্দর্য স্বরূপ ভোগ-বিলাসের যে উপকরণ দিয়েছি),আপনি সেই সব বস্তুর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করবেন না।' আপনার কানকে সংযত করে এই বলে,'এবং (অন্যের ব্যাপারে) গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না।' আপনার খাদ্যাভাসকে পরিমিত করে এই বলে যে,'খাও ও পান কর এবং অপব্যয় করো না।'

এই অসাধারণ বইটি খুব সহজেই আপনার জীবনকে খুব সুন্দর করে গুছিয়ে দিতে পারে,আপনাকে এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ বানাতে পারে।

একবার এটাকে সুযোগ দিয়েই দেখুন না।"

- শায়খ আসিম আল হাকিম।

Monday, July 22, 2013

এটি একটি দালালী পোস্ট

বাংলায় একটা বাগধারা আছে,"যারে দেখতে নারি,তার চলন বাঁকা।"।

 আসুন এর একটা প্র‍্যাকটিকাল উদাহরণ দেখি।


 একদল মানুষ আছেন,যাঁরা মাশাআল্লাহ

- দেশের সংবিধান হিসেবে আল-কুরআনকে দেখতে চান
- দেশের আইন হিসেবে ইসলামী শরিয়া আইন দেখতে চান
- রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামী দাওয়াহ কার্যক্রম দেখতে চান।

কিন্ত......

- Already একটা দেশের সংবিধান হিসেবে আল-কুরআন চালু আছে।
- Already সেই দেশে ইসলামী শরিয়া আইন প্রচলিত।
- এবং already সেই দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামী দাওয়াহ প্রচলিত, এবং আলহামদুলিল্লাহ এই দাওয়াহর ফলে শুধুমাত্র যে প্রচুর অমুসলিমই যে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আসেন নি,বরং ভুল আক্বীদার অনেক মুসলিম সহীহ আক্বীদার ইসলাম খুঁজে পেয়েছেন।


কিন্ত তারপরও,তাঁরা সেই দেশের উপর সন্তুষ্ট তো ননই,বরং সেই দেশের শাসকবর্গকে উঠতে-বসতে-খেতে-শুতে কাফির অ্যাখ্যায়িত করতেও তাঁদের এতটুকু বাধে না।


 অর্থ্যাৎ,"যারে দেখতে নারি,তার চলন বাঁকা।"।


 পুনশ্চ: এটি একটি দালালী পোস্ট।

Friday, July 19, 2013

হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকীঃ আমাদের কিছু চিন্তা করার আছে কি?

আজ ১৯ জুলাই,২০১৩। সম্ভবত,বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক,হুমায়ূন আহমেদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।

As always,এ নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস বারে স্বভাবতই ঝড় উঠেছে। তাঁর ভক্তরা,তাঁকে নিয়ে মাতামাতি করছেন,এবং আমার ইসলামপন্থী বন্ধুদের অনেকেই তাঁকে তুলোধনা করছেন!

যাই হোক,তাঁকে নিয়ে আমার আসলে কিছু বলার নেই। শুধু এই হাদীসটা উল্লেখ করতে চাই,

আয়েশা রাযিআল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

"তোমরা মৃত ব্যক্তিদেরকে গালি দিও না, কারণ তারা তাদের কৃতকর্মের পরিণাম পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে।"। [সহীহ বুখারী,৮ম খণ্ড,হাদীস #৫২৩]

তাঁর ভক্তকুলের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলতে চাই।

ভাই/আপু,

কখনো কি চিন্তা করেছেন,আমাদের এই জীবনে,আমরা কিন্ত একদম ১০০% নিশ্চিত করে,পাঁচটা মিনিট পরেও আমাদের সাথে কী ঘটবে,তা বলতে পারি না,পারি কি?

পাঁচ মিনিট তো অনেক লম্বা সময়,এক মিনিট পরেও কী ঘটবে,আমরা কি তাও জানি?

না,জানি না।

কিন্ত একটা inevitable reality,একটা অনিবার্য সত্য,আমরা কিন্ত সবাই জানি।

সেটা হচ্ছে,death,মৃত্যু।

আমার আপনার ভাগ্যে কী আছে,এ বিষয়ে আমরা আর কিছু না জানলেও,এইটুকু কিন্ত আমরা অবশ্যই জানি,মৃত্যুর হাত থেকে আমাদের মুক্তি নেই।

হুমায়ূন আহমেদের দিকে তাকিয়ে দেখুন। তাঁর কত অসংখ্য লেখায়,ঘুরে ফিরে,তিনি মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে চেয়েছিলেন। কত হাহাকার তিনি করেছেন,একদিন তিনি আর এই পৃথিবী দেখতে পারবেন না,জোছনা দেখতে পারবেন না,কাশবাগানের ঝিরঝির বাতাস অনুভব করতে পারবেন না।

তাঁর মত,এত বিখ্যাত,এত জনপ্রিয় একজন মানুষও কি মৃত্যুকে এড়িয়ে যেতে পেরেছেন? 

না।

আল্লাহ কিন্ত বারবার,বারবার আমাদের সতর্ক করেছেন,এই মৃত্যুর হাত থেকে আমাদের মুক্তি নেই।

“প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।” [সূরা আলে ইমরান-১৮৫]

“অতঃপর নির্ধারিত সময়ে যখন তাদের মৃত্যু এসে যাবে, তখন এক মুহুর্তও বিলম্বিত কিংবা তরান্বিত করতে পারবে না।” [সূরা নাহল-৬১]

"তোমরা যেখানেই থাক না কেন; মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান কর, তবুও।" [সূরা আন নিসাঃ আয়াত ৭৮]

"মৃত্যুযন্ত্রণা নিশ্চিতই আসবে। এ থেকেই তুমি টালবাহানা করতে।" [সূরা ক্বাফঃ১৯]

ভাই/আপু,

একটু চিন্তা করে দেখুন তো,হুমায়ূন আহমেদ,তাঁর বিভিন্ন লেখার মাধ্যমে,জীবন সম্পর্কে তাঁর যে দর্শন আমাদের সামনে ফুটিয়ে তুলেছেন,তাঁর আসলেই কি কোন মূল্য আছে? বৃষ্টি আর জোছনার মত দুটো "সৃষ্টি"-কে ভালবেসে আমাদের আসলেই কি কোন লাভ আছে? আমাদের বোনদের অবলীলায় যার তার প্রেমে পড়ার যে মন্ত্র তিনি শিখিয়ে গেলেন,তার থেকে আসলেই কি কোন উপকার আছে?

"যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখিরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত।'' [সূরা আলে-ইমরান, আয়াত ৮৫]

আল্লাহ নানা নিদর্শনের মাধ্যমে,একদম চোখে আঙ্গুল দিয়ে আমাদের দেখিয়ে দিচ্ছেন,কোনটা মুক্তির পথ,কোনটা সরল পথ,কোনটা সাফল্যের পথ।

এরপরও,যদি আমরা না শুনি,না মানি,তাহলে আমাদের নিজেদের ছাড়া,কাউকে blame করার কোন অজুহাত কি থাকবে?

"তোমাদের আচরণ তোমাদের পূর্ববর্তীদের মতোই। তারা ছিল তোমাদের চাইতে বেশী শক্তিশালী এবং তোমাদের চাইতে বেশী সম্পদ ও সন্তানের মালিক। তারপর তারা দুনিয়ায় নিজেদের অংশের স্বাদ উপভোগ করেছে এবং তোমরাও একইভাবে নিজেদের অংশের স্বাদ উপভোগ করেছো। যেমন তারা করেছিল এবং তারা যেমন অনর্থক বিতর্কে লিপ্ত ছিল তেমনি বিতর্কে তোমরাও লিপ্ত রয়েছো। কাজেই তাদের পরিণতি হয়েছে এই যে, দুনিয়ায় ও আখেরাতে তাদের সমস্ত কাজকর্ম পণ্ড হয়ে গেছে এবং তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।

তাদের কাছে কি তাদের পূর্ববর্তীদের ইতিহাস পৌঁছেনি? নূহের জাতির, আদ, সামূদ ও ইবরাহীমের জাতির, মাদইয়ানের অধিবাসীদের এবং যে জনবসতিগুলো উল্টে দেয়া হয়েছিল সেগুলোর? তাদের রসূলগণ সুস্পষ্ট নিশানীসহ তাদের কাছে এসেছিলেন। এরপর তাদের ওপর জুলুম করা আল্লাহর কাজ ছিল না বরং তারা নিজেরাই নিজেদের ওপর জুলুম করেছিল।" [সূরা আত তাওবা ৬৯-৭০]

ফকিন্নির পুত সমাচার

আমার আব্বা বুয়েটে পড়েছেন,তাঁর ব্যাচের সিভিলের ফিফথ বয়। সুতরাং তিনি একজন ‘ফকিন্নির পুত’।

আমার আম্মা ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্রী,তাঁর ব্যাচের বোটানি ডিপার্টমেন্টের মাস্টার্সে প্র্যাকটিকাল গ্রুপ থেকে প্রথম স্থান অধিকারী। সুতরাং তিনিও ‘ফকিন্নির পুত’। ওহ,সরি,‘ফকিন্নির পুতনি’!

আমি,এই মহা গর্ধব Esclavo-deAlá Sami,প্রথম বার চান্স না পেয়েও শুধুমাত্র ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ার জন্য সেকেন্ড টাইম পরীক্ষা দেই,এবং আল্লাহর রহমতে চান্সও পাই। অতএব,আমি বংশানুক্রমিকভাবেই ‘ফকিন্নির পুত’।


অতএব,আমার পরিবারই ‘ফকিন্নির পুত’!

কিন্ত এই ‘ফকিন্নির পুত’ পরিবার অন্তত আমাকে কাউকে ‘ফকিন্নির পুত’ বলে গালি দিতে শিখায় নি,রাস্তার ফকিরদেরকেও কখনো ‘ফকিন্নী’ বলতে শিখায় নি,বরং সামাজিক মর্যাদায় ছোট,কিন্ত বয়সে বড় মানুষগুলোকে শ্রদ্ধা দিতেই শিখিয়েছে।

ভাই,আমার দরকার নাই আপনার মত,আপনাদের মত হাইফাই সমাজের সংস্পর্শ।

‘ফকিন্নির পুত’ আছি,‘ফকিন্নির পুত’-ই থাকতে চাই।

অন্তত মানুষকে তো মানুষ হিসেবেই জানব,রাজা প্রজা ‘ফকিন্নী' বলে ডিভিশন করা শিখব না।