Tuesday, February 11, 2014

ফাতিহা ইয়াযদহম

শরীফ আবু হায়াত অপু ভাই তাঁর একটা আর্টিকেলে লিখেছিলেন যে, কেউ যদি ইসলাম নিয়ে সামান্যতম পড়াশুনা করে, তাহলেই সে বিশাল একটা দ্বন্দ্বে পড়ে যাবে। তার তখন ঠিক করতে হবে, কোন ইসলাম সে পালন করবে, বাপদাদার পালন করা ইসলাম, না আল্লাহর দেওয়া ইসলাম!

হিন্দুদের অনুকরণে "বার মাসে তের পার্বণ" সমৃদ্ধ ইসলামের বাংলাদেশি ভার্সনের অন্যতম একটা পার্বণ আগামীকাল, নাম, ফাতিহা ইয়াযদহম।

তো এই পার্বণের উপলক্ষ হচ্ছেন শায়খ আব্দুল কাদের জীলানী রাহিমাহুল্লাহ। যদিও এই বিদআতের সাথে তাঁর বিন্দুমাত্র কোন সম্পর্ক নেই।

শায়খ আব্দুল কাদের জীলানী রাহিমাহুল্লাহর অফাত উপলক্ষ্যে এই দিন পালিত হয়। ফারসী ভাষায় ' ইয়াযদহম ' মানে ১১ তম। যেহেতু রবিউস সানী মাসের ১১ তারিখে তাঁর অফাত হয় সে জন্য এই দিনটিকে 'ফাতিহা ইয়াযদহম' নামে স্মরণ ও পালন করা হয়। ১১ তারিখের রাতে তাঁর নামে কুরআন-খতম ও মিলাদ-মাহফিল করে লোকেরা 'ফয়য' হাসিল করে থাকে।

আমরা জানি যে, ইসলামে ব্যক্তিপূজার কোন স্থান নেই। খোদ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম-মৃত্যু দিবস পালন করা বিদআত। সুতরাং তাঁর পরে আর কার জন্ম-মৃত্যু দিবস পালন করা বিধেয় হতে পারে? তাছাড়া তাঁর নামে যা করা হয় তাও তো বিদআত। বলা বাহুল্য, ঐ দিনে ছুটি মানানো বা কাজ-কর্ম বন্ধ করে হালুয়া-রুটি খেয়ে আনন্দ করা কোনমতেই শরীয়ত সম্মত কাজ নয়।

আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝ ডান করুক। এসব বিদআতি কাজ হতে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুক। আমীন।

[পোস্ট কৃতজ্ঞতাঃ মাকসুদ বিন আমল ভাই]

No comments:

Post a Comment